ঢাকা বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪

গোল্ডেন মনিরের বন্ধু হায়দারের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

গোল্ডেন মনিরের বন্ধু হায়দারের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ আগস্ট ২০২২ | ০৭:৩৯ | আপডেট: ১৩ মে ২০২৩ | ০৮:০৪

কারাগারে আটক বিতর্কিত ব্যবসায়ী গোল্ডেন মনিরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঢাকার উত্তরার সোনারগাঁও জনপথের গ্র্যান্ড জম জম টাওয়ার লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. হায়দার আলীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

দুদকের পটুয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মামুনুর রশিদ চৌধুরী (সাবেক উপপরিচালক প্রধান কার্যালয়) বাদী হয়ে মঙ্গলবার কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি দায়ের করেন।

এজাহারে হায়দার আলীর বিরুদ্ধে অসাধু উপায়ে ২ কোটি ৬৭ লাখ ১৫ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ করা হয়েছে।

হায়দার আলীর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানকালে তিনি দুদকের চাহিদা অনুযায়ী সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। তাতে মোট ৫ কোটি ১৫ লাখ ১০ হাজার ২৯১ টাকা মূল্যের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য দেন। তার সম্পদ বিবরণী, আয়কর নথিসহ অন্যান্য তথ্যাদি পর্যালোচনা করা হয়।

স্থাবর সম্পদের মধ্যে জমি, প্লট ক্রয়, বাড়ি নির্মাণ এবং অন্যান্য নির্মাণ সংক্রান্ত সম্পদ রয়েছে। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে শেয়ার, স্বর্ণালংকার, আসবাবপত্র, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী, পিস্তল এবং ব্যাংকে জমানো টাকা রয়েছে।

অনুসন্ধানকালে পারিবারিক ব্যয়সহ হায়দার আলীর নামে মোট ৭ কোটি ৫৮ লাখ ৬৪ হাজার ৭৭১ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ পাওয়া যায়। হায়দার আলীর নামে ২০১০-১১ থেকে ২০২০-২১ করবর্ষ পর্যন্ত কৃষি, ব্যবসা, গৃহ সম্পত্তি, বেতন-ভাতাদি, নিরাপত্তা জামানতের উপর সুদ হতে আয়, করমুক্ত আয়, মূলধনী আয় এবং জমি বিক্রি থেকে আয়সহ মোট ৩ কোটি ৯৪ লাখ ৯৪ হাজার ৭৬৫ টাকার আয়ের উৎস পাওয়া যায়। আয়কর নথিতে ঘোষিত আয় এবং ঋণসহ মোট ৪ কোটি ৯১ লাখ ৪৯ হাজার ৭৬৫ টাকার আয় পাওয়া যায়।

তার আয়-ব্যয়ের হিসাব পর্যালোচনা করে তার নামে ২ কোটি ৬৭ লাখ ১৫ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ পাওয়া যায় যা তার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ। এজাহারে তার বিরুদ্ধে দুদক আইন-২০০৪ এর ২৭(১) ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

এজাহারে আরও বলা হয়, অনুসন্ধানকালে পাওয়া তথ্য থেকে জানা যায়, হায়দার আলী তথাকথিত ব্যবসায়ী মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরের ব্যবসায়িক পার্টনার ও বন্ধু, গোল্ডেন মনিরের নানা অবৈধ ব্যবসা ও কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তিনি জড়িত। মূলত হায়দার আলীর সম্পদের উল্লেখযোগ্য কোনো উৎস নেই। 

whatsapp follow image

আরও পড়ুন

×