দেশ শ্রীলঙ্কার মতো হলে কি ভালো হবে, প্রশ্ন ছাত্রলীগ সভাপতির

সমাবেশে বক্তব্য দেন ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় - সমকাল
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২২ | ০৭:০২ | আপডেট: ২৪ আগস্ট ২০২২ | ০৭:১৪
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় প্রশ্ন করেছেন, যারা বারবার বলেন, দেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে যাবে। তাদের বলতে চাই, দেশ শ্রীলঙ্কার মতো হলে কি ভালো হবে? আপনারা বাংলাদেশের বাইরে থাকেন নাকি? আপনারা কথায় কথায় হাসি দিয়ে বলেন, বাংলাদেশ নাকি শ্রীলঙ্কার পথে।
বুধবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্রলীগ আয়োজিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাস্টার মাইন্ড তারেক জিয়াকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার কার্যকর করার দাবিতে’ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব প্রশ্ন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের সঞ্চালনায় সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস।
জয় বলেন, ২০০৪ সালে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে খুনি তারেক জিয়ার অপচেষ্টায় এই গ্রেনেড হামলা হয়। সে মামলার রায় হয়েছে। তাকে দ্রুত সময়ে দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আহ্বান জানান তিনি। একইসঙ্গে তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে তারেক জিয়াকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকরের দাবি জানান।
তিনি বলেন, ছাত্রলীগ দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সন্ত্রাসমুক্ত করতে কাজ করে যাচ্ছে। দেশে শান্তিপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করছে। আজকে যখন শিক্ষার্থীরা সেশনজটমুক্ত ক্লাস করছে, সে সময় অছাত্রদের সংগঠন দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করে। শিক্ষাঙ্গনকে বিশৃঙ্খল করার জন্য কাজ করছে তারা। স্বাধীনতাবিরোধী চক্র কখনোই সফল হতে পারবে না। কারণ, ‘৭১ সালে এদেশ কীভাবে চলবে, তা নির্ধারণ করা হয়ে গেছে।
বিএনপি- জামায়াত আমলে দেশের মানুষকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে দেওয়া হয়নি মন্তব্য করে জয় বলেন, অষ্টম শ্রেণির পাঠ্য বইয়ে বিভিন্নভাবে খুনি জিয়ার নামে কথা বলা হয়েছে। আজ শেখ হাসিনার মাধ্যমে জাতি সঠিক ইতিহাস জানতে পারছে।
ঢাবি সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস বিএনপি-জামায়াত জোটকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ২১ আগস্টের হামলায় তারা জড়িত না হলে বিবৃতি দিতে পারতো, কিন্তু তারা কোনো বিবৃতি দেয়নি। এটি দুঃখজনক ও কলঙ্কময় অধ্যায়। উল্টো আপনারা হামলাকারীদের পুরস্কৃত করেছেন, পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছেন। সেদিন হামলার শিকার নেতাকর্মীদের সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে দেননি।
ঢাবি সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় মন্ত্রীদের সহায়তা নিয়ে, জঙ্গি সংগঠনকে সম্পৃক্ত করে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছে। ফলে বিএনপি তার রাজনীতি করার নৈতিক অধিকার হারিয়ে ফেলেছে।