আলোচনা সভায় বক্তারা
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতি সংরক্ষণের আহ্বান
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২২ | ০৯:১৮ | আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২২ | ০৯:১৮
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতি সংরক্ষণে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জনিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা। তাঁরা বলেছেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী এবং শহীদ সাংবাদিকদের শুধু স্মরণানুষ্ঠানের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। তাঁদের কর্ম ও পরিচয় পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জানানোর ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হলেই বরং তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন সার্থক হবে।
বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেস ক্লাব 'বাংলাদেশের অভ্যুদয়: বুদ্ধিজীবীদের অবদান' শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে।জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, বর্তমান সভাপতি ওমর ফারুক, বাসসের এমডি ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আজিজুল ইসলাম ভুঁইয়া, ফরিদ হোসেন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, সিনিয়র সহসভাপতি হাসান হাফিজ, কোষাধ্যক্ষ শাহেদ চৌধুরী প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ভানু রঞ্জন চক্রবর্তী।
ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতি সংরক্ষণ করা জরুরি। তাঁদের পরিবারের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা এখনও সম্ভব।
মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, রাজনৈতিক নেতৃত্বের যে আন্দোলন বঙ্গবন্ধু করেছিলেন, তার সঙ্গে হাত ধরাধরি করে আন্দোলনে সম্পৃক্ত ছিলেন বুদ্ধিজীবীরাও। যে কারণে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছে। তরুণ প্রজন্মকে জানাতে হবে কেন, কারা, কীভাবে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে। এটি জানলেই তরুণ প্রজন্ম বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস জানতে পারবে। সভাপতির বক্তৃতায় ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী ও শহীদ সাংবাদিকদের জীবনী সংরক্ষণের দাবি উঠে এসেছে। আমরাও একমত। আশা করছি, সংশ্নিষ্টরা এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
