কৃষিপণ্যের আন্তর্জাতিক বাজার ধরতে ব্যতিক্রম উদ্যোগ

বুধবার 'কেন্দ্রীয় প্যাকিং হাউজে স্থাপিত উদ্ভিদ সংগনিরোধ ল্যাবরেটরিকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ল্যাবরেটরিতে রূপান্তর' প্রকল্পের আওতায় রাজধানীর ফার্মগেটে বিএআরসি অডিটোরিয়ামে সেমিনার বক্তব্য দেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার। ছবি: সমকাল
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১ জুন ২০২৩ | ১৫:১৪ | আপডেট: ২১ জুন ২০২৩ | ১৬:৪১
কৃষিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিদেশের বাজার ধরতে পণ্যভিত্তিক সফটওয়্যার তৈরি হবে। এতে যেকোনো পণ্যের উৎপাদন থেকে শুরু করে রপ্তানি পর্যন্ত পুরো তথ্য সংরক্ষণ করা হবে। বিদেশি ক্রেতারা সরাসরি অনলাইনে পরীক্ষার রিপোর্ট নিতে পারবেন। আন্তর্জাতিক মানের ল্যাবরেটরির মাধ্যমে ২৫-৩০ শতাংশ কৃষিপণ্য রপ্তানি বাড়ানো হবে।
বুধবার ‘কেন্দ্রীয় প্যাকিং হাউজে স্থাপিত উদ্ভিদ সংগনিরোধ ল্যাবরেটরিকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ল্যাবরেটরিতে রূপান্তর প্রকল্পের আওতায়’ রাজধানীর ফার্মগেটে বিএআরসি অডিটোরিয়ামে এক সেমিনার এসব তথ্য জানানো হয়। এতে ঢাকার শ্যামপুরে অবস্থিত কেন্দ্রীয় প্যাকিং হাউজের ল্যাবরেটরি ব্যবস্থাপনা এবং কেন্দ্রীয় প্যাকিং হাউজ পরিচালন নীতিমালার খসড়া প্রকাশ করা হয়।
এ নীতিমালায় পণ্যের শনাক্তকরণ নিশ্চিতে সফটওয়্যার তৈরির কথা বলা হয়েছে। এতে যারা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মান নিশ্চিত করে ভালো কৃষি অনুশীলন বা গুড অ্যাগ্রিকালচারাল প্র্যাকটিস (গ্যাপ) অনুসরণ করে পণ্য উৎপাদন করেন, তাদের তথ্যও থাকবে। রপ্তানিতে গতি আনতে এবং বিদেশি ক্রেতারা যেন সরাসরি পণ্যের টেস্টের ফলাফল দেখতে পারে সেজন্য ল্যাবরেটরিকে ডিজিটালাইজেশন করার কথাও বলা হয়েছে।
ল্যাব পরিচালনার জন্য একটি সুরক্ষা তহবিল, ল্যাবে উন্নত গবেষণার জন্য দক্ষ জনবল তৈরি, বিভিন্ন পর্যায়ের ৫৬ জন কর্মকর্তা কর্মচারী নিয়োগের বিষয়ও আছে নীতিমালায়। প্যাকিং হাউজ, অফিস এবং ল্যাব ব্যবস্থাপনার জন্য একটি ইন্টিগ্রেটেড সফটওয়্যার সিস্টেম ডেভেলপ করা হবে। যেখানে রপ্তানিকারকরা সফটওয়ারের মাধ্যমে কী পণ্য, কোথায় যাবে, কত পণ্য রপ্তানি হবে- তা উল্লেখ করে আগে থেকেই বুকিং করবেন। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় প্যাকিং হাউজের রপ্তানি কার্যক্রম ও ল্যাবের গবেষণা কার্যক্রম ২৪ ঘণ্টাই খোলা রাখা হবে।
প্যাকিং হাউজের ল্যাবে উন্নত প্যাকেজিং, অটোমেটিক ওয়াশিং ড্রাইং প্ল্যান্ট, হটওয়াটার ট্রিটমেন্ট সংস্থান, কোল্ডরুম সচল রাখাসহ নানা ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ থাকবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার বলেন, আগামী দুয়েক মাসের মধ্যেই প্যাকিং হাউজ ও ল্যাব চালু করা হবে। ভারতে এ ধরনের প্যাকিং হাউজের সংখ্যা ৫ শতাধিক। থাইল্যান্ডে এ রকম ল্যাব অগুনিত। আমরা কেবল শুরু করছি। এ জন্য বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসতে হবে।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধে কেন্দ্রীয় প্যাকিং হাউজে স্থাপিত উদ্ভিদ সংগনিরোধ ল্যাবরেটরিকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ল্যাবরেটরিতে রূপান্তর প্রকল্পের পরিচালক ড. শামীম আহমেদ বলেন, আন্তর্জাতিক মানের এ ল্যাবরেটরির মাধ্যমে ২৫-৩০ শতাংশ রপ্তানি বাড়ানো হবে। প্রাইম মার্কেটে রপ্তানি বাড়ানোই আমাদের মূল লক্ষ্য।