স্বাধীনতা পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টার হাত থেকে পুরস্কার নিচ্ছেন অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলামের কন্যা। ছবি: ভিডিও থেকে সংগৃহীত
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ মার্চ ২০২৫ | ১১:৩৩ | আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২৫ | ১৪:৩৭
জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এ বছর স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২৫ পেলেন সাত জন। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে ‘স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২৫’ তুলে দেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এ বছর সাত জন বিশিষ্ট ব্যক্তি দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক এই পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। এরমধ্যে ছয় জনকে মরণোত্তর এই পুরস্কার দেওয়া হয়, তাদের পক্ষে পরিবারের সদস্যরা পুরস্কার গ্রহণ করেন।
পুরস্কারের জন্য মনোনীত একমাত্র জীবিত বিশিষ্ট ব্যক্তি বদরুদ্দীন মোহাম্মদ উমর পুরস্কার নেবেন না বলে আগেই জানিয়েছিলেন। শতাধিক গ্রন্থের এই লেখক আজীবন কোনো পুরস্কার গ্রহণ করেননি। তার ব্যক্তিগত এই ভাবনাকে সরকার সম্মান জানায়, তবে তার পুরস্কারের একটি রেপ্লিকা জাতীয় জাদুঘরে রাখা হবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।
এর আগে গত ১১ মার্চ রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের তালিকার প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
যেসব ব্যক্তি এবার স্বাধীনতা পুরুস্কার পেয়েছেন, তারা হলেন- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম (মরণোত্তর), সাহিত্যে মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ (মরণোত্তর), সংস্কৃতিতে নভেরা আহমেদ (মরণোত্তর), সমাজসেবায় স্যার ফজলে হাসান আবেদ (মরণোত্তর), মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতিতে মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান ওরফে আজম খান (মরণোত্তর), শিক্ষা ও গবেষণায় বদরুদ্দীন মোহাম্মদ উমর এবং প্রতিবাদী তারুণ্যে আবরার ফাহাদ (মরণোত্তর)।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ। অনুষ্ঠানে তিনি জানান, স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহিদদের স্মৃতির প্রতি সম্মান প্রদর্শনের লক্ষে প্রতি বছর জাতীয় জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়ে থাকে। এই পুরস্কার ১৯৭৭ সালে প্রবর্তন করা হয়। সরকার ২০২৪ সাল পর্যন্ত ৩২৪ জন ব্যক্তি ও ৩২টি প্রতিষ্ঠানকে এই পুরস্কার প্রদান করেছে।
যারা পুরষ্কার গ্রহণ করেছেন- অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলামের (মরণোত্তর) মেয়ে সাদাফ সিদ্দিকী, সাহিত্যে মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদের (মরণোত্তর) মেয়ে আতিয়া মীর, সংস্কৃতিতে নভেরা আহমেদের (মরণোত্তর) পদক বাংলাদেশ অ্যাম্বাসি প্যারিসে পাঠানো হয়েছে, সমাজসেবায় স্যার ফজলে হাসান আবেদের (মরণোত্তর) ছেলে সানেরা আবেদ, মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতিতে মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান ওরফে আজম খানের (মরণোত্তর) মেয়ে অরণি খান এবং আবরার ফাহাদের (মরণোত্তর) মা মোছা. রোকেয়া খাতুন।
- বিষয় :
- স্বাধীনতা পদক
- অন্তর্বর্তী সরকার