বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবি: ময়ূর-২ লঞ্চের সুকানি গ্রেপ্তার

বরিশাল ব্যুরো
প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২০ | ০৪:৩৪ | আপডেট: ১৫ জুলাই ২০২০ | ০৫:০৩
বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবিতে প্রাণহানির ঘটনায় দায়ের করা মামলার অন্যতম আসামি ময়ূর-২ লঞ্চের সুকানি মো. নাসির মৃধাকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৮।
বুধবার ভোরে বাগেরহাট জেলার বন্দর এলাকায় এমভি রাজিব-২ কার্গো জাহাজ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুপুর ১টার দিকে বরিশার নগরীর রাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব-৮) সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
নাসির বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার ভবানীপুর এলাকার মো. শাহজাহান মৃধার ছেলে।
র্যাব- ৮ সূত্র জানায়, লঞ্চ দুর্ঘটনার পর থেকে সুকানি নাসির আত্মগোপনে চলে যান। ঘটনার পরপরই ঢাকার বিভিন্ন জায়গা ঘুরে তিনি বাগেরহাটে যান। র্যাব-৮ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নাসিরের অবস্থান জানতে পেরে বুধবার ভোরে বাগেরহাট জেলার বন্দর এলাকায় অভিযান চালায়। বন্দর এলাকায় অবস্থানরত এমভি রাজিব-২ কার্গো জাহাজ থেকে নাসিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুন সকাল ৯টার দিকে মুন্সিগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা দোতলা মর্নিং বার্ড লঞ্চটি সদরঘাট কাঠপট্টি ঘাটে ভেড়ানোর আগ মুহূর্তে চাঁদপুরগামী ময়ূর-২ লঞ্চটি ধাক্কা দেয়। এতে মর্নিং বার্ড লঞ্চটি ডুবে যায়। লঞ্চডুবির ওই ঘটনায় ৩৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনার পরদিন সদরঘাট নদী থানার উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ শামসুল বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক মোসাদ্দেক হানিফ সোয়াদ, মাস্টার আবুল বাশার, মাস্টার জাকির হোসেন, স্টাফ শিপন হাওলাদার, শাকিল হোসেন, হৃদয় ও সুকানি নাসির মৃধার নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও পাঁচ থেকে ছয়জনকে সেখানে আসামি করা হয়।
মামলার প্রধান আসামি ময়ূর-২ লঞ্চের মাস্টার আবুল হোসেনকে গত সোমবার ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার কালিগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
১০ জুলাই ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক মোসাদ্দক হানিফ সোহাগকে রাজধানীর কলাবাগান থানার সোবাহানবাগ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি বর্তমানে জেলহাজতে আছেন। এছাড়া গত ৭ জুলাই পুলিশ ময়ূর-২ লঞ্চের কর্মচারী আব্দুস সালামকে গ্রেপ্তার করে এবং ওইদিন আদালত তাকে তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।