নতুন প্রজন্মের সুরক্ষায় তামাক আইনের প্রয়োগ জরুরি

উন্নয়ন সমন্বয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অতিথিরা - সমকাল
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ১৭:১৩ | আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ১৭:১৩
আগামী ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের মাধ্যমে শক্তিশালীকরণের খসড়া প্রস্তুত করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। জনস্বাস্থ্য ও অর্থনীতিকে তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য এই সংশোধনীটি চূড়ান্ত করার জন্য আইন প্রণেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিশিষ্টজন।
সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে উন্নয়ন সমন্বয় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এ আহ্বান জানান।
‘ধূমপান ও তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণ’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান। এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা, ইউএনডিপির কান্ট্রি ইকোনমিস্ট ড. নাজনীন আহমেদ, নাট্যকার রুমা মোদক, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, এটিএন নিউজের চিফ এক্সিকিউটিভ এডিটর মুন্নী সাহা, জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সাবেক ফুটবলার শেখ মোহাম্মদ আসলাম এবং প্রথম নারী ফুটবলার ও কোচ রেহানা পারভীন।
সভাপতির বক্তব্যে ড. আতিউর রহমান বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনীটি চূড়ান্ত হলে কর্মসংস্থান ও বৃহত্তর অর্থনীতির ক্ষতি হতে পারে বলে ভুল প্রচারণা চালাচ্ছে স্বার্থান্বেষী মহল। এই সংশোধনীটি চূড়ান্ত হলে বাংলাদেশের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত হবে এবং এতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ব্যবসা ও শ্রমিকদের কর্মসংস্থানে উল্লেখযোগ্য কোনো ক্ষতি হবে না, বরং তামাক ব্যবহার কমে আসার ইতিবাচক প্রভাব পড়বে পুরো অর্থনীতিতে।
ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, তামাকের ক্ষতিকারক বিষয়টি শিশুদের মাথায় ঢুকিয়ে দিতে হবে। আবার, পাঠ্যপুস্তকে আরও বেশিমাত্রায় তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করা উচিত। এসময় ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার বাস্তবায়নের জন্য একটি রোডম্যাপ তৈরির বিষয়ে জোড় দেন নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা।
তথ্য বিভ্রাটের বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করে শ্যামল দত্ত বলেন, ‘তামাক কোম্পানিগুলো সরকারকে রাজস্ব আয় কমে যাওয়ার বিষয়ে ভুল তথ্য দিয়ে থাকে, ফলে সরকার তামাকবিরোধী আইন শক্তিশালী করতে ভয় পায়।
মুন্নী সাহা বলেন, তামাক কোম্পানিগুলো মিডিয়া হাউজে তামাকবিরোধী রিপোর্টিং না করার জন্য বিভিন্ন ধরনের সিএসআর করে থাকে, যার ফলে এই ধরণের সচেতনতামূলক প্রচারণার উদ্যোগ দেখা যায় না।