মধ্যবিত্তের হাহাকার আর কত?

মো. জামিল বাসার
প্রকাশ: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ১৮:০০ | আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ১৯:১০
৩৫ টাকা থেকে ১২০ টাকা কেজি চিনি, ৯০ টাকা থেকে ১৮০ টাকা লিটার সয়াবিন। চাল ৪৫-৫০ টাকা থেকে ৭০-৮০ টাকা কেজি। আটা ২৫ টাকা থেকে ৬০ টাকা কেজি। গরুর মাংস ৪০০ টাকা থেকে এখন ৭৫০ টাকা কেজি। পোলট্রি মুরগির কেজি ৭০-৮০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা কেজি। এভাবে সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়েই চলেছে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সমকালে প্রকাশিত 'ভোরে ওএমএস যুদ্ধ মোড়ে মোড়ে' শীর্ষক সংবাদটি পড়লে মধ্যবিত্তের বাস্তব অবস্থা সহজেই অনুধাবন করা যায়। এভাবে দ্রব্যমূল্য বাড়তে থাকলে ভোরে কেন; মধ্যরাত থেকে লাইনে দাঁড়াতে বাধ্য হবে মধ্যবিত্ত। সরকার কি পারবে এত লোকের হাহাকার দূর করতে?
কিন্তু ১১-২০ গ্রেডে স্বল্প বেতনের সরকারি কর্মচারীদের বেতন গত ৭ বছর ধরে একই রয়েছে। অর্থাৎ সাত বছর আগের দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে সমন্বয় করে যে পে স্কেল নির্ধারিত হয়েছিল, আজ ১০০ শতাংশের ওপরে দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাওয়ার পরও স্বল্প বেতনের সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ৭ বছর আগের অবস্থানেই রয়ে গেছে। সব পেশার মানুষ বর্তমান বাজারদরের সঙ্গে তাদের পেশার পারিশ্রমিক সমন্বয় করে নিতে সক্ষম হয়েছে। শুধু ১১-২০ গ্রেডের সরকারি কর্মচারীরা এই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে সমন্বয় করতে পারছে না।
১১-২০ গ্রেডের সরকারি কর্মচারীরা ৯ম পে স্কেল এবং মহার্ঘ্য ভাতার জন্য আন্দোলন করে আসছে। নতুন পে স্কেল বা বেতন-ভাতা বাড়ানোর কোনো চিন্তাভাবনা সরকারের আপাতত নেই- অর্থমন্ত্রীর এমন বক্তব্যে আমরা ১১-২০ গ্রেডের সরকারি কর্মচারীরা সংসার খরচের চিন্তায় অস্থির। এ অবস্থায় সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, বর্তমান বাজারদরের কথা চিন্তা করে ১১-২০ গ্রেডের সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করে ৯ম পে স্কেলসহ মহার্ঘ্য ভাতা চালু করে পরিবার-পরিজন নিয়ে একটু ভালো থাকতে দিন।
ধনবাড়ী, টাংগাইল
- বিষয় :
- মধ্যবিত্ত
- মো. জামিল বাসার