'আমি আবার আসব'
কবীর সুমন
মীর সামী
প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২২ | ১২:০০
এলেন, দেখলেন, জয় করলেন। যদিও তাঁর কাছে এটা নতুন নয়। ২০০৯ সালের ১৬ অক্টোবর শেষবার ঢাকার মঞ্চে গেয়েছিলেন তিনি। তারপর ২০২২ সালের অক্টোবর। মাঝে কেটে গিয়েছে ১৩ বছর। এখন সত্তরোর্ধ্ব কবীর সুমন। তাঁর নাম শুনলেই কানে বাজে বাংলা গানের ইতিহাসে অমর হয়ে থাকা কিছু গান। প্রেম, জীবনবোধ কিংবা বাংলার গান- সব খানেই তার অবাধ পদচারণা। 'তোমাকে চাই', 'নন্দীগ্রাম', 'গণদাবি', 'জাতিস্মর', 'ঘুমাও বাউণ্ডুলে' গানগুলো শ্রোতাকে উজ্জীবিত করে এখনও। শুধু এ ক'টিই নয়, কালোত্তীর্ণ হয়ে আছে সুমনের প্রায় প্রতিটি মৌলিক গান। নিছক গান বলতে সুমনের অবশ্য কিছু নেই- আছে ইতিহাস, সত্য, ভালোবাসা ও মানুষের কথা। সুমনের প্রতিটি গানে উঠে এসেছে নির্দিষ্ট লক্ষ্য আর বোধ; যা তিনি প্রকাশ করেছেন তাঁর বলিষ্ঠ কণ্ঠে, স্পষ্ট ভাষায়। তাঁর গানের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন ইতিহাস আর সত্যকে। সুমনের গানের শুরুটা হয়েছিল ছোটবেলা থেকেই। কিন্তু ছোটবেলায় সবার সামনে নিজে গাইবার মতো মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলেন না। সময়ের সঙ্গে সুমন বুঝতে পারলেন, তাঁর এ গানই হতে পারে তাঁর প্রতিবাদের ভাষা আর ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। তাই তো চল্লিশের কোটায় গিটার হাতে গাইতে শুরু করেন। শুরু হলো সুমনের গান। সুমন ধীরে ধীরে হয়ে উঠলেন নতুন যুগের বাংলা গানের রূপকার। তাঁকে বাংলা গানের আধুনিক-উত্তর পর্বের সূচক বলা হয়।
তাই ১৩ বছর পর যখন ঢাকায় গাইতে আসবেন সুমন- এমন ঘোষণা হতেই সাধারণের মধ্যে বিপুল সাড়া পড়ে। টিকিট নিয়ে চলে হুড়োহুড়ি। কিন্তু অনুষ্ঠানের ভেন্যু পেতে প্রথমেই তৈরি হলো সংকট। অনেক বাধাবিপত্তি পেরিয়ে গেল শনিবার [১৫ অক্টোবর] ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের মঞ্চে উঠলেন কবীর সুমন। পরনে হাফহাতা জলপাই রঙের লং পাঞ্জাবি আর সাদা ধুতি। চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা। শরীরে একাধিক রোগের কারণে এখন আর ঠিকমতো দাঁড়াতেও পারেন না নাগরিক গানওয়ালা সুমন। চলাচলের জন্য ব্যবহার করতে হয় হুইলচেয়ার। সমস্যা হয় একটানা বসে থাকতেও। নিতে হয় ইনহেলারও। তারপরও তিয়াত্তর বছর বয়সের এই 'গানওলা' গাইলেন গান। ১৩ বছর আগে যখন এই মঞ্চে তিনি গেয়েছিলেন, তখন তাঁর হাতে ছিল গিটার। কিন্তু এক মুহূর্তের জন্যও গিটার বাজালেন না। এবার তিনি গাইলেন কি-বোর্ড বাজিয়ে। তাঁর গানের সঙ্গে গিটার বাজালেন অন্যজন। সুমন বললেন, 'নিউরোলজিক্যাল সমস্যার কারণে এখন আর গিটার বাজাতে পারি না। চেয়ার থেকে উঠতেও সমস্যা হয়। তবে গুরুদের আশীর্বাদে কণ্ঠটা এখনও অকেজো হয়ে যায়নি।' গান আর কথার ফাঁকে ফাঁকে শোনালেন নানান গল্প। যেখানে মিশে আছে তাঁর গান আর জীবন। তাঁর কথা-গানে বারবার ঘুরেফিরে এলো বাংলাদেশ। বললেন, 'বাংলাদেশের কাছে তো ধারদেনার সীমা নেই আমার।' দীর্ঘ ১৩ বছর পর বাংলাদেশে গান গাইতে কেমন লাগছে- জানতে চাইলে সুমন বলেন, 'আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আমার বয়স এখন প্রায় ৭৩। এখনও এই বুড়োর গান শোনার জন্য এত মানুষের আগ্রহ দেখছি, এটা আমায় আনন্দ দিয়েছে। উপস্থিত দর্শকের বেশিরভাগই তরুণ, যা আমার জন্য অত্যন্ত আনন্দের।'
সুমন আরও বললেন, 'আমি প্রথম বাংলাদেশে গান করতে এসেছিলাম মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের আমন্ত্রণে। তখন আমার বয়স ছিল ৪৭।' কথায় কথায় সুমন জানালেন তিনি আরেকবার বাংলাদেশের মঞ্চে গাইতে চান। বললেন, 'যদি আপনাদের মনে হয় আমি আরেকবার অনুষ্ঠান করতে আসব। সে অনুষ্ঠান করতে একটি পয়সাও নেব না।' এরপর কিছুটা আক্ষেপের সুরেই কবীর সুমন বললেন, 'আমি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা করে পেনশন পাই। এ ছাড়া কয়েকজনকে আধুনিক বাংলা গান শেখাই, তাঁরা কিছু দেন। তাতেই আমার সংসার চলে। আমাকে এখন কেউ ডাকে না। কারণ বিনোদন শিল্পে বুড়োদের জায়গা নেই। বুড়োদের জায়গা আছে ডাক্তারি এবং ওকালতিতে। তা ছাড়া অনেকে আমায় পছন্দ করেন না নানা কারণে। আমি কথা দিচ্ছি, এ মঞ্চেই যদি সুযোগ হয়, আমি আবার গাইব বিনামূল্যে।'
কবীর সুমনের আধুনিক গানে কম-বেশি সবারই মুগ্ধতা রয়েছে। কিন্তু তিনি নিজে মুগ্ধতা খুঁজে পেয়েছেন বাংলা খেয়ালে। তাঁর মতে, খেয়াল গাওয়ার জন্যই তাঁর জন্ম হয়েছে। যদিও সংগীতের এই ধারা খুব একটা জনপ্রিয় নয় কিংবা তিনিও 'কথিত' সাফল্য পাননি; তারপরও খেয়ালের প্রতি তাঁর আবেগ সর্বোচ্চ। সেই আবেগের কয়েক ছটা ছিটিয়ে দিলেন ঢাকায়। সুমনের খেয়াল ও গল্প শুনে উপস্থিত দর্শকদের মুখে ছিল তৃপ্তির হাসি। যা দেখে সুমন বললেন, 'এই যে কারও কারও মুখে হাসি দেখছি, এটির জন্যই আমি জন্মেছি আসলে।' তিনি আরও বললেন, 'আমি অতি বাল্যকাল থেকে বাবা ও কয়েকজন গুরুর কাছ থেকে খেয়াল শিখেছি। হিন্দি ভাষায় শিখেছি; যা ছিল হিন্দুস্তানি। প্রায় ৪০ বছর আগে তাঁরা বলতেন, আসরে খেয়াল গাইবে না। এখন সময় বদলে গেছে। এক সময় আমার মনে হলো, মাতৃভাষায় খেয়াল আমাকে গাইতেই হবে। আমার বন্ধু আছেন আকাশবাণী কলকাতার ডিরেক্টর। তিনি আমার খেয়াল স্বরলিপি করে রাখছেন। বাংলা খেয়াল নিয়ে আমার দুটি বই প্রকাশ হয়েছে। বলা যায় বাংলা খেয়াল নিয়ে এগুলো আমার জীবনের সেরা কাজ।' দীর্ঘ বিরতির পর ঢাকায় গান শোনাতে এসে এত তরুণের উপস্থিতি নিয়ে সুমন বললেন, 'এই যে নবীনরা আজও প্রায় ৭৪ বছর বয়সী বুড়োর গান শুনছে। এটাই আমার কাছে অনেক আনন্দের।' সুমন আরও বলেন, 'নবীনদের কাছে রয়েছে আমার বিশেষ দাবি, তারা যেন তাদের জীবনে একটা স্থির লক্ষ্যের দিকে এগোয়। যে কোনো বিষয়ে এমন অবস্থান তৈরি করে, যাতে সেখান থেকে তাকে কেউ ফেলে দিতে না পারে। এটা বলছি এই কারণে, আমি লেখাপড়ায় খুব খারাপ ছিলাম। আমি এমন ফেল করতাম যে, ফেল করার ইতিহাসে আমি সবার ওপরে ছিলাম। ফলে মা-বাবাকে এ-স্কুল থেকে ও-স্কুলে যেতে হয়েছে। এককালের ফেলু এখনও তোমাদের গান শোনাতে পারছে। তাই আমি জানি তোমরাও ভালো করবে। প্রয়োজন শুধু পরিকল্পনা। তাহলেই জীবনে সফল হবেই।'
সুমনের গানকে বলা হয় জীবনমুখী গান। কিন্তু এ বিষয়ে রয়েছে তাঁর আপত্তি। তিনি বলেন, "নব্বইয়ের দশকে প্রখ্যাত এক কণ্ঠশিল্পী অ্যালবামের গানে নাম দিয়েছিলেন 'জীবনমুখী বাংলা গান'। এরপর এই জীবনমুখী বিষয়টি সামনে আসে। আমি দিব্যি করে বলছি, আমি কখনও জীবনমুখী, চন্দ্রমুখী, মরণমুখী গান করিনি। এর মধ্যে আমি নেই। আমি আধুনিক বাংলা গান করি- এটাই যথেষ্ট।"
আরও একদিন ঢাকায় গাইবেন সুমন। আগামীকাল একই স্থানে তিনি শোনাবেন আধুনিক গান। এরপর ফিরে যাবেন কলকাতায়। যদিও তিনি ইতোপূর্বে ঘোষণা দিয়েছেন, আমি আবার আসব। এমনকি ডাকলে তিনি বিনামূল্যেই গান গেয়ে যাবেন।
তাই ১৩ বছর পর যখন ঢাকায় গাইতে আসবেন সুমন- এমন ঘোষণা হতেই সাধারণের মধ্যে বিপুল সাড়া পড়ে। টিকিট নিয়ে চলে হুড়োহুড়ি। কিন্তু অনুষ্ঠানের ভেন্যু পেতে প্রথমেই তৈরি হলো সংকট। অনেক বাধাবিপত্তি পেরিয়ে গেল শনিবার [১৫ অক্টোবর] ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের মঞ্চে উঠলেন কবীর সুমন। পরনে হাফহাতা জলপাই রঙের লং পাঞ্জাবি আর সাদা ধুতি। চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা। শরীরে একাধিক রোগের কারণে এখন আর ঠিকমতো দাঁড়াতেও পারেন না নাগরিক গানওয়ালা সুমন। চলাচলের জন্য ব্যবহার করতে হয় হুইলচেয়ার। সমস্যা হয় একটানা বসে থাকতেও। নিতে হয় ইনহেলারও। তারপরও তিয়াত্তর বছর বয়সের এই 'গানওলা' গাইলেন গান। ১৩ বছর আগে যখন এই মঞ্চে তিনি গেয়েছিলেন, তখন তাঁর হাতে ছিল গিটার। কিন্তু এক মুহূর্তের জন্যও গিটার বাজালেন না। এবার তিনি গাইলেন কি-বোর্ড বাজিয়ে। তাঁর গানের সঙ্গে গিটার বাজালেন অন্যজন। সুমন বললেন, 'নিউরোলজিক্যাল সমস্যার কারণে এখন আর গিটার বাজাতে পারি না। চেয়ার থেকে উঠতেও সমস্যা হয়। তবে গুরুদের আশীর্বাদে কণ্ঠটা এখনও অকেজো হয়ে যায়নি।' গান আর কথার ফাঁকে ফাঁকে শোনালেন নানান গল্প। যেখানে মিশে আছে তাঁর গান আর জীবন। তাঁর কথা-গানে বারবার ঘুরেফিরে এলো বাংলাদেশ। বললেন, 'বাংলাদেশের কাছে তো ধারদেনার সীমা নেই আমার।' দীর্ঘ ১৩ বছর পর বাংলাদেশে গান গাইতে কেমন লাগছে- জানতে চাইলে সুমন বলেন, 'আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আমার বয়স এখন প্রায় ৭৩। এখনও এই বুড়োর গান শোনার জন্য এত মানুষের আগ্রহ দেখছি, এটা আমায় আনন্দ দিয়েছে। উপস্থিত দর্শকের বেশিরভাগই তরুণ, যা আমার জন্য অত্যন্ত আনন্দের।'
সুমন আরও বললেন, 'আমি প্রথম বাংলাদেশে গান করতে এসেছিলাম মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের আমন্ত্রণে। তখন আমার বয়স ছিল ৪৭।' কথায় কথায় সুমন জানালেন তিনি আরেকবার বাংলাদেশের মঞ্চে গাইতে চান। বললেন, 'যদি আপনাদের মনে হয় আমি আরেকবার অনুষ্ঠান করতে আসব। সে অনুষ্ঠান করতে একটি পয়সাও নেব না।' এরপর কিছুটা আক্ষেপের সুরেই কবীর সুমন বললেন, 'আমি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা করে পেনশন পাই। এ ছাড়া কয়েকজনকে আধুনিক বাংলা গান শেখাই, তাঁরা কিছু দেন। তাতেই আমার সংসার চলে। আমাকে এখন কেউ ডাকে না। কারণ বিনোদন শিল্পে বুড়োদের জায়গা নেই। বুড়োদের জায়গা আছে ডাক্তারি এবং ওকালতিতে। তা ছাড়া অনেকে আমায় পছন্দ করেন না নানা কারণে। আমি কথা দিচ্ছি, এ মঞ্চেই যদি সুযোগ হয়, আমি আবার গাইব বিনামূল্যে।'
কবীর সুমনের আধুনিক গানে কম-বেশি সবারই মুগ্ধতা রয়েছে। কিন্তু তিনি নিজে মুগ্ধতা খুঁজে পেয়েছেন বাংলা খেয়ালে। তাঁর মতে, খেয়াল গাওয়ার জন্যই তাঁর জন্ম হয়েছে। যদিও সংগীতের এই ধারা খুব একটা জনপ্রিয় নয় কিংবা তিনিও 'কথিত' সাফল্য পাননি; তারপরও খেয়ালের প্রতি তাঁর আবেগ সর্বোচ্চ। সেই আবেগের কয়েক ছটা ছিটিয়ে দিলেন ঢাকায়। সুমনের খেয়াল ও গল্প শুনে উপস্থিত দর্শকদের মুখে ছিল তৃপ্তির হাসি। যা দেখে সুমন বললেন, 'এই যে কারও কারও মুখে হাসি দেখছি, এটির জন্যই আমি জন্মেছি আসলে।' তিনি আরও বললেন, 'আমি অতি বাল্যকাল থেকে বাবা ও কয়েকজন গুরুর কাছ থেকে খেয়াল শিখেছি। হিন্দি ভাষায় শিখেছি; যা ছিল হিন্দুস্তানি। প্রায় ৪০ বছর আগে তাঁরা বলতেন, আসরে খেয়াল গাইবে না। এখন সময় বদলে গেছে। এক সময় আমার মনে হলো, মাতৃভাষায় খেয়াল আমাকে গাইতেই হবে। আমার বন্ধু আছেন আকাশবাণী কলকাতার ডিরেক্টর। তিনি আমার খেয়াল স্বরলিপি করে রাখছেন। বাংলা খেয়াল নিয়ে আমার দুটি বই প্রকাশ হয়েছে। বলা যায় বাংলা খেয়াল নিয়ে এগুলো আমার জীবনের সেরা কাজ।' দীর্ঘ বিরতির পর ঢাকায় গান শোনাতে এসে এত তরুণের উপস্থিতি নিয়ে সুমন বললেন, 'এই যে নবীনরা আজও প্রায় ৭৪ বছর বয়সী বুড়োর গান শুনছে। এটাই আমার কাছে অনেক আনন্দের।' সুমন আরও বলেন, 'নবীনদের কাছে রয়েছে আমার বিশেষ দাবি, তারা যেন তাদের জীবনে একটা স্থির লক্ষ্যের দিকে এগোয়। যে কোনো বিষয়ে এমন অবস্থান তৈরি করে, যাতে সেখান থেকে তাকে কেউ ফেলে দিতে না পারে। এটা বলছি এই কারণে, আমি লেখাপড়ায় খুব খারাপ ছিলাম। আমি এমন ফেল করতাম যে, ফেল করার ইতিহাসে আমি সবার ওপরে ছিলাম। ফলে মা-বাবাকে এ-স্কুল থেকে ও-স্কুলে যেতে হয়েছে। এককালের ফেলু এখনও তোমাদের গান শোনাতে পারছে। তাই আমি জানি তোমরাও ভালো করবে। প্রয়োজন শুধু পরিকল্পনা। তাহলেই জীবনে সফল হবেই।'
সুমনের গানকে বলা হয় জীবনমুখী গান। কিন্তু এ বিষয়ে রয়েছে তাঁর আপত্তি। তিনি বলেন, "নব্বইয়ের দশকে প্রখ্যাত এক কণ্ঠশিল্পী অ্যালবামের গানে নাম দিয়েছিলেন 'জীবনমুখী বাংলা গান'। এরপর এই জীবনমুখী বিষয়টি সামনে আসে। আমি দিব্যি করে বলছি, আমি কখনও জীবনমুখী, চন্দ্রমুখী, মরণমুখী গান করিনি। এর মধ্যে আমি নেই। আমি আধুনিক বাংলা গান করি- এটাই যথেষ্ট।"
আরও একদিন ঢাকায় গাইবেন সুমন। আগামীকাল একই স্থানে তিনি শোনাবেন আধুনিক গান। এরপর ফিরে যাবেন কলকাতায়। যদিও তিনি ইতোপূর্বে ঘোষণা দিয়েছেন, আমি আবার আসব। এমনকি ডাকলে তিনি বিনামূল্যেই গান গেয়ে যাবেন।
- বিষয় :
- কবীর সুমন