ঢাকা শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪

মিলল ১৫ কোটি বছর আগের 'সামুদ্রিক ড্রাগনের' ফসিল

মিলল ১৫ কোটি বছর আগের 'সামুদ্রিক ড্রাগনের' ফসিল

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২০ | ২০:৫৪

সামুদ্রিক প্রাণিজগতে পরিচিত দৈত্যাকার প্রাণী নীল তিমি। বর্তমানে এটিকে সবচেয়ে বড় প্রাণী হিসেবে ধারণা করা হয়। কিন্তু আরও বড় বা দৈত্যাকার প্রাণী সমুদ্রে বিচরণ করত কিনা মানবসভ্যতা জানত না। 

বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রায় ১৫ কোটি বছর আগে সমুদ্রে আরও এক প্রজাতির বড় প্রাণীর অস্তিত্ব ছিল। এটি সমুদ্রের একদম নিচে বিচরণ করত এবং এদের প্রধান খাবার ছিল মাছ। সম্প্রতি ইংল্যান্ডের ডোরসেট উপকূলে ইংলিশ চ্যানেলের কাছে একটি প্রাণীর ফসিল পাওয়া গেছে, যার অস্তিত্ব সম্পর্কে কোনো ধারণা ছিল না। প্রগৈতিহাসিক যুগের এই প্রাণীটিকে 'সামুদ্রিক ড্রাগন' বলা হচ্ছে। এটি সামুদ্রিক সরীসৃপ ইসথিয়োসোরের একটি প্রজাতি হতে পারে। তবে নতুন আবিস্কার হওয়া প্রাণীটির গঠন এবং তার বৈশিষ্ট্য ওই সরীসৃপটি থেকে বেশ আলাদা।

ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব পোর্টসমাউথের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মেগান জ্যাকব বলেন, অত্যন্ত সুরক্ষিত এই ফসিলটির পেটে বেশ কিছু কালো অংশ পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এগুলো এর পেটের অংশ এবং প্রাণীটির পেটের রং আসলেই কালো ছিল। নতুন এই প্রজাতির প্রাণীর মুখে শতাধিক দাঁত ছিল। দাঁতগুলো ছোট ও মসৃণ হওয়ায় যেকোনো ছোট মাছও এর জালে ধরা পড়ত। তবে ইসথিয়োসোরের অন্য প্রজাতিগুলোর দাঁত বেশ বড় বড় থাকত। তাই এই প্রজাতি অন্যগুলোর চেয়ে বেশ আলাদা।

প্লোস ওয়ান নামের জার্নালে প্রকাশ হওয়া নিবন্ধে জ্যাকব আরও বলেন, ড্রাগনটির চোখ দুটি ছিল অবিশ্বাস্য রকমের বড়, যা তাকে অল্প আলোতেও মাছ শিকারে সহায়তা করত। এর থেকে অনুমান করা যায়, এটি হয়তো নিশাচর প্রাণী এবং পানির অনেক গভীরে গিয়ে খাদ্য আহরণ করতে পারত, যেখানে আলো পৌঁছায় না।

ইউনিভার্সিটি অব পোর্টসমাউথের আরেক গবেষক ডেভিড মার্টিল জানিয়েছেন, সামুদ্রিক এই ড্রাগনের পেটের ভেতর শক্ত বা বড় কোনো হাড় পাওয়া যায়নি। এর কারণ হতে পারে, এরা এমন কোনো খাবার গ্রহণ করত না, যা চিবুতে কষ্ট হয় বা বড় ও শক্ত হাড় আছে। সূত্র :ডেইলি মেইল

whatsapp follow image

আরও পড়ুন

×