অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ নিয়ে সম্ভবত আগে এতো আলোচনা হয়নি। বিশেষত এশিয়ার ক্রিকেট খেলুড়ে দেশে। এবারের বিশ্বকাপ দুটি কারণে নজর কেড়েছে সবার। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের ফাইনালে উঠে স্নায়ুচাপ বজায় রেখে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। বিশ্ব ক্রিকেটের তারকাদের মন জয় করেছেন টাইগার যুবরা। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনাল আরও একটি কারণে আলোচনায়। ম্যাচ শেষে দুই দলের ক্রিকেটারররা হাতা-হাতিতে জড়িয়েছেন।

আইসিসির বিধি ভাঙায় বাংলাদেশের তিন এবং ভারতের দুই ক্রিকেটারকে বেশ বড় শাস্তিও পেয়েছেন। কিন্তু ভারতের হয়ে প্রথম বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক কপিল দেব এবং দেশটির হয়ে ৯৯ টেস্ট খেলা আজহারউদ্দিন তাতে সন্তুষ্ট নন। ভারতীয় ক্রিকেটে বোর্ডের কাছে দেশটির দুই যুবা ক্রিকেটার আকাশ সিং এবং রবি বিষ্ণয়ের শাস্তি দাবি করেছেন তারা। এছাড়া কোচিং স্টাফরা ক্রিকেটারদের আচরণ শিক্ষা দেয় কি-না সেই প্রশ্নও তুলেছেন।

কপিল দেব ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম দ্য হিন্দুকে বলেন, ‘একটা দৃষ্টান্ত দাঁড় করাতে বোর্ড ভারতের ওই দুই যুবা ক্রিকেটারকে  শাস্তি দেবে আশা করছি। ক্রিকেট মানে প্রতিপক্ষকে অসম্মান করা নয়। আমি মনে করি, এই যুবাদের মধ্যে এমন অনেক কিছুই আছে যা বোর্ডের শক্ত হাতে সমাধান করতে হবে।’

ফিক্সিং কাণ্ডে ক্রিকেট থেকে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া ভারতীয় ব্যাটসম্যান এবং অধিনায়ক আজহারউদ্দিন বলেন, ‘আমি ক্রিকেটারদের আগ্রাসী মনোভাব পছন্দ করি। এর মধ্যে খারাপের কিছু নেই। কিন্তু প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করার মানসিকতা বদলাতে হবে। প্রতিযোগিতার নামে প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করার কোন সুযোগ নেই। ছোট ছোট ক্রিকেটাররা মাঠের মধ্যে এমন আপত্তিকর ঘটনা ঘটাবে এটা গ্রহণযোগ্য নয়।’

কপিল দেবের মতো আজহারউদ্দিনও যুবা এই ভারতীয় ক্রিকেটারদের শাস্তির পক্ষে, ‘মাঠে হাতাহাতিতে জড়ানো অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ওই ক্রিকেটারদের শাস্তি দেওয়ার পক্ষে আমি। এছাড়া অনূর্ধ্ব-১৯ দলের যেসব স্টাফ আছেন তারা এই তরুণদের ক্রিকেটের সঙ্গে আচরণ শিক্ষা দিতে কী কাজ করেছেন সেটাও আমি জানতে চাই।’ এর আগে ভারতের সাবেক আরেক ক্রিকেটার বিষেন সিং বেদি মন্তব্য করেন, ‘ব্যাটে, বলে, ফিল্ডিংয়ে খারাপ দিন যেতেই পারে। কিন্তু ব্যবহার খারাপ করার কোন অজুহাত খাটতে পারে না।’

ভারতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ দলের লেগ স্পিনার রবি বিষ্ণয়ের আচরণে অবশ্য তার বাবা লজ্জা অনুভব করছেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম। তিনি বলেছেন, আমি সত্যি খুব অবাক। আমার ছেলের কী এমন হয়ে গেলো। আমার সন্তানদের মধ্যে সেই সবচেয়ে শান্ত (রবিরা চার ভাই বোন)। বিষ্ণয় ওর সতীর্থদের বাংলাদেশী ক্রিকেটারদের আক্রমণ থেকে বাঁচাতে গিয়ে নিজের মেজাজ হারিয়ে ফেলে। এই ঘটনায় আমার স্ত্রী দু’দিন ধরে কিছু খাচ্ছে না।’