সাক্ষাৎকার
সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা পাবেন যুবারা
এশিয়া জয়ী যুবা ক্রিকেটারদের সঙ্গে ফাহিম সিনহা। ছবি: বিসিবি
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২০:০৯
এশিয়া কাপজয়ী ক্রিকেটারদের ২০২৬ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের জন্য সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা দিয়ে প্রস্তুত করা হবে বলে জানিয়েছেন বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফাহিম সিনহা। দেশে-বিদেশে টানা সিরিজ খেলা নিশ্চিত হয়েছে বলে জানান তিনি। যুবাদের সুবিধার্থে বিদেশি কোচিং স্টাফের সঙ্গে দেশি কোচদের নিয়োগ দেওয়াকে ইতিবাচক মনে করেন ফাহিম।
সমকাল : ২০২০ সালের বিশ্বকাপজয়ী দলের খেলোয়াড়দের স্কলারশিপ দেওয়া হয়েছিল। এশিয়া কাপজয়ীদের নিয়ে কোনো পরিকল্পনা আছে?
ফাহিম : ওটা বিশ্বকাপ জেতায় একটা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন দলের ক্ষেত্রে তেমন কোনো উদ্যোগ নিতে হলে বোর্ডকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আর বাকি যে সুযোগ-সুবিধা, সেটা প্রক্রিয়া অনুসরণ করে করা হয়। এইচপি যাদের পটেনশিয়াল মনে করে, তাদের নিয়ে যায়। পাশাপাশি ক্লাব ক্রিকেট খেলতে থাকে। খেলোয়াড়দের সবাই বিসিবির নেটওয়ার্কে থাকে। আসলে এই দলকে তৈরি করা হচ্ছে বিশ্বকাপের জন্য।
সমকাল : পুরো ব্যাচ ধরে দীর্ঘমেয়াদে প্রশিক্ষণের সুযোগ দেওয়া হবে?
ফাহিম : এ বছর অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া দলের খেলোয়াড়রা কোনো না কোনো দলের সঙ্গে আছে। এইচপি, বাংলাদেশ টাইগার্স বা ‘এ’ দলে খেলছে। বিপিএল, প্রিমিয়ার লিগ, এনসিএল খেলছে। এক-দুজন হয়তো ইনজুরিতে আছে।
সমকাল : এইচপি বা টাইগার্সে সুযোগ দেওয়া হবে বিদেশি কোচিং সেটআপের মাধ্যমে?
ফাহিম : এইচপি ও বাংলাদেশ টাইগার্স আলাদা বিভাগ হলেও আমাদের এই খেলোয়াড়দের নিয়েই ক্যাম্প করে। দুটি বিভাগই ভালো করেছে এ বছর। এ দুই বিভাগে হয়তো গেম ডেভেলপমেন্টের সরাসরি সম্পৃক্ততা থাকে না। তবে সমন্বিতভাবে কাজ হয়।
সমকাল : ২০২৬-এর বিশ্বকাপের জন্য এই দলটিকে কীভাবে তৈরি করতে চান?
ফাহিম : আমরা চেষ্টা করব, ছেলেদের সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা দিয়ে বিশ্বকাপের জন্য তৈরি করার। ডিসেম্বরে শ্রীলঙ্কা আসার কথা ছিল, এখন তারা একটু পিছিয়ে জানুয়ারিতে আসবে। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে হোম সিরিজ শেষ করে আমরা আবার শ্রীলঙ্কায় যাব। জুলাই মাসে দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ। সেপ্টেম্বরে ইংল্যান্ডের সঙ্গে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলা হবে। তৃতীয় দলটি কে হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি। ডিসেম্বরে আরেকটি এশিয়া কাপ হওয়ার কথা। ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে নামিবিয়াতে হবে বিশ্বকাপ। আমার মনে হয়, বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য পর্যাপ্ত ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে।
সমকাল : অনূর্ধ্ব-১৫ ও অনূর্ধ্ব-১৭ ক্রিকেটারদের বেসিক নিয়ে কাজ করতে বিদেশি কোচিং স্টাফ নিয়োগ দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা?
ফাহিম : আমরা ভিডিও অ্যানালিস্টের কথা চিন্তা করছি। নিচের লেভেল থেকে ভিডিও অ্যানালিস্ট থাকলে, বায়ো মেকানিক্স যোগ করা সম্ভব হলে শুরুতে বেসিক ভালো থাকবে। আমরা ভালো কিছু করব, ইনশাআল্লাহ।
সমকাল : জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের স্কিলে ঘাটতি দেখা যায়। কারও ফুটওয়ার্ক নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এই বেসিক বয়সভিত্তিক দলে শেখার কথা নয় কি?
ফাহিম : এটা নিয়ে কথা হয়েছে। জাতীয় দল শেখার জায়গা না। শিখতে হবে নিচের লেভেলে। কেন কোন জায়গাতে ভুল হচ্ছে, তা ক্ষতিয়ে দেখতে হবে। অনূর্ধ্ব-১৯ দল পার করার পর সবাই যে হারিয়ে যাচ্ছে, তাও না। জাতীয় দলে খেলা বেশির ভাগ তো অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলেছে। যুব পর্যায়ে ভালোই কাজ হচ্ছে। এর ওপরের দিকে কাজ করার সুযোগ আছে হয়তোবা।
সমকাল : যেহেতু টুর্নামেন্ট কমিটি দেখভাল করছে, তাই জানতে চাই আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থাকে কেমন গুরুত্ব দেবেন?
ফাহিম : ফারুক ভাই দায়িত্ব নেওয়ার পর বলেছেন, আঞ্চলিক পর্যায়ে ক্রিকেটকে প্রসারিত করবেন। জেলা ক্রীড়া সংস্থাগুলো যখন কার্যকর হয়ে যাবে, তখন আমরাও কার্যক্রম শুরু করব।
সমকাল : অনূর্ধ্ব-১৯ দলে দেশি কোচদের সুযোগ কেমন?
ফাহিম : আমাদের অনূর্ধ্ব-১৯ দলে বেশির ভাগই দেশি কোচ। ব্যাটিং কোচ সেলিম ভাই। তালহা যুবায়ের পেস বোলিং কোচ, ফিল্ডিং কোচ ডিকেন্স ভাই। তাদের সঙ্গে আরও একজন করে যুক্ত করে দেওয়া যায় কিনা, সে চিন্তা করা হচ্ছে। তারা থাকলে বিকল্প বাড়বে। ছেলেদের অনুশীলনের সুবিধা হবে।
- বিষয় :
- অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ
- বিসিবি
- সাক্ষাৎকার