ঢাকা বুধবার, ২২ জানুয়ারি ২০২৫

ভিএলএসআইথন প্রতিযোগিতার বিজয়ী ঘোষণা

ভিএলএসআইথন প্রতিযোগিতার বিজয়ী ঘোষণা

ভিএলএসআইথন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের পুরস্কৃত করেছে উল্কাসেমি

সমকাল ডেস্ক

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২০:৪৩ | আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২১:০৩

রাজধানীর আহছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিএলএসআইথন ২.০ চূড়ান্ত পর্বে বিজয়ী ছয় দলকে সম্মাননা দেওয়া হয়।

সারাদেশের ২০টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২৩৫ জন তরুণ প্রতিযোগীর ৮২টি দল চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। আরটিএল (রেজিস্টার ট্রান্সফার লেভেল) ডিজাইন ও অ্যানালগ ডিজাইন ক্যাটাগরিতে ভিএলএসআইথন ২.০ পর্বে প্রতিযোগীরা অংশগ্রহণ করে। চূড়ান্ত পর্যায়ে প্রতিটি ক্যাটাগরি থেকে তিনটি দল চ্যাম্পিয়ন, প্রথম রানারআপ ও দ্বিতীয় রানারআপ হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়।

দেশের সেমিকন্ডাক্টর উন্নয়ক প্রতিষ্ঠান উল্কাসেমির উদ্যোগ ও আহছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব ইইই (ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং) ও আইইইই শিক্ষার্থীদের প্রযোজনায় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। আরটিএল ডিজাইন বিভাগে বিজয়ী হয় টিম ‘রুয়েট ডিজিটাল ডায়নামস’। প্রথম রানারআপ হয় বুয়েট টিম ‘আসকি’ ও দ্বিতীয় রানারআপ হয় টিম ‘রুয়েট থ্রিইডিয়টস’।

অন্যদিকে, অ্যানালগ ডিজাইন বিভাগে বিজয়ী হয় টিম ‘হেলিকপ্টার’, প্রথম রানারআপ হয় ‘টিম এক্সপোনেনশলস’ ও দ্বিতীয় রানারআপ হয় টিম ‘আসকি’।

বিজয়ী দলকে তিন লাখ টাকা মূল্যমানের পুরস্কার দেওয়া হয়। উল্কাসেমির সিইও ও প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ এনায়েতুর রহমান বিজয়ীদের পুরস্কৃত করেন।

উল্কাসেমির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ এনায়েতুর রহমান বলেন, ভিএলএসআইথন ২.০ পর্বে তরুণ প্রকৌশলীরা প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনশীলতার ক্ষেত্রে দারুণ সম্ভাবনা ও দক্ষতার প্রদর্শন করেছে। প্রযুক্তি, বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), পুরোটা  সেমিকন্ডাক্টর চিপের ওপর নির্ভরশীল। সক্ষমতার নতুন রূপান্তর সেমিকন্ডাক্টর। ভবিষ্যতে প্রযুক্তির নেতৃত্ব যাদের হাতে থাকবে, সেই সব দেশই বিশ্বেকে শাসন করবে। বিশ্বে সেমিকন্ডাক্টরের বাজার ৫০ হাজার কোটি ডলার। ২০৩০ সালে যা ফুলেফেঁপে দ্বিগুণ হওয়ার হাতছানি। ইতোমধ্যে চীন ৪ হাজার ৭৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করে চিপ কারখানা নির্মাণের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। সামনে দারুণ সুযোগ। উল্কাসেমি এ দেশের সেমিকন্ডাক্টর শিল্পকে আন্তর্জাতিক মানে পৌঁছে দিতে কাজ করছে।

উদ্যোক্তারা বলেন , ২০৩০ সালের মধ্যে শিল্পটি মাল্টি বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে যাওয়ার সম্ভাবনা। সঠিক সরকারি-বেসরকারি সহায়তা পেলে, খাতটি থেকে আয় এক থেকে ১৬ বিলিয়ন ডলার বাড়ানো সম্ভব। দেশের তরুণ প্রকৌশলীদের এ খাতে বিপুল কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ দৃশ্যমান।

আহছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. আশরাফুল হক বলেন, উল্কাসেমির উদ্যোগে ভিএলএসআইথন ২.০ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দেশের তরুণ প্রকৌশলীরা অসাধারণ উদ্ভাবনী সক্ষমতা দেখিয়েছে। প্রতিযোগিতা শুধু তাদের প্রযুক্তিগত দক্ষতার স্বীকৃতি নয়; বরং বাংলাদেশের ভবিষ্যত প্রযুক্তির উন্নয়নে সময়োপযোগী প্রথম পদক্ষেপ।

আরও পড়ুন

×