- প্রথম পাতা
- 'প্লিজ পুলিশ পাঠান, আমাকে উদ্ধার করুন'
প্রথম পাতা
'প্লিজ পুলিশ পাঠান, আমাকে উদ্ধার করুন'
বউ পিটিয়ে আবার আলোচনায় মুরাদ

গতকাল সমকাল অনলাইন মুরাদের স্ত্রীকে নির্যাতনের এ খবর সবার আগে প্রকাশের পর ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়। স্ত্রীকে মারধর করে আবার আলোচনায় আসেন মুরাদ। পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, গতকাল বিকেলে ৯৯৯-এ ফোন করে ডা. জাহানারা বলেন, 'আমি ডা. জাহানারা। ধানমন্ডি থেকে বলছি। আমার স্বামী ডা. মুরাদ, এমপি মুরাদ। আমাকে উদ্ধার করুন। প্লিজ, পুলিশ পাঠান, এখনি পুলিশ পাঠান।'
ধানমন্ডি থানার ওসি ইকরাম আলী মিয়া সমকালকে বলেন, ৯৯৯ থেকে কল পেয়ে সাবেক প্রতিমন্ত্রীর ধানমন্ডি ১৫ নম্বর সড়কের বাসায় পুলিশ পাঠানো হয়। তার বিরুদ্ধে নির্যাতন ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ করেছেন স্ত্রী। পরে তিনি এ ব্যাপারে জিডি করেন।
জিডির পর মুরাদের বিরুদ্ধে কী ধরনের আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে- জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। এ ছাড়া দু'জনের পরিবারের মুরুব্বিদের ডেকে বিষয়টি মিটমাট করার জন্য বলব। সেটা না হলে তার স্ত্রীর অভিযোগের আলোকে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ বাসায় গিয়ে ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলেছে। মুরাদের স্ত্রী তার এক বান্ধবীকে নিয়ে থানায় এসেও পারিবারিক কলহের বিষয়গুলো জানিয়েছেন।
জিডিতে জাহানারা এহসান অভিযোগ করেছেন, সম্প্রতি ডা. মুরাদ কারণে-অকারণে তাকে এবং ও তার সন্তানদের অকথ্য ভাষায় গালাগালসহ শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন এবং হত্যার হুমকি দিয়ে আসছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে ৩টার দিকে তিনি আবার তাকে ও তাদের সন্তানদের গালমন্দ করতে থাকেন। এক পর্যায়ে মারধর করতে উদ্যত হলে তিনি ৯৯৯-এ কল করেন। তাদের মাধ্যমে জেনে ধানমন্ডি থানা পুলিশ বাসার ঠিকানায় পৌঁছলে তিনি বাসা থেকে বের হয়ে যান। এ অবস্থায় তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। ডা. মুরাদ যে কোনো সময় তার ও সন্তানদের ক্ষতি করতে পারেন।
ভার্চুয়াল টকশোতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করে বিতর্কের মুখে পড়েন মুরাদ হাসান। এর রেশ না কাটতেই তার কথোপকথনের একটি অডিও রেকর্ড ফাঁস হয়। তাতে তিনি এক অভিনেত্রীকে ধর্ষণের হুমকি দেন। এসব ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গত ৭ ডিসেম্বর পদত্যাগ করেন মুরাদ। পরে আওয়ামী লীগের পদও হারান তিনি। অবশ্য তিনি এখনও এমপি হিসেবে বহাল আছেন।
মন্ত্রিত্ব হারানোর পর গত ৯ ডিসেম্বর রাতে তিনি কানাডার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন। এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে তিনি প্রথমে দুবাই যান। এর পর সেখান থেকে আরেক ফ্লাইটে যান কানাডায়। তবে টরন্টোর পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে ফিরিয়ে দেয় কানাডীয় কর্তৃপক্ষ। এর পর সংযুক্ত আরব আমিরাতে ঢোকার চেষ্টা করলেও সেখানকার ভিসা না থাকায় দুবাইয়ের ইমিগ্রেশন আটকে দেয় তাকে। দুবাইয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর ১২ ডিসেম্বর ঢাকা ফিরে আসেন মুরাদ।
বিষয় : মুরাদ
মন্তব্য করুন