এ সময় ত্রাণ বিতরণে সমন্বয়হীনতার বিস্তারিত অভিযোগ তুলে ধরে বলা হয়, যে জেলায় দরিদ্র মানুষের হার যত বেশি, সেই জেলায় সরকারের ত্রাণ বরাদ্দ তত কম। ব্যবস্থাপনার ত্রুটি ও সমন্বয়হীনতার সমস্যা দূর করা না হলে দেশে মানবিক বিপর্যয় ও দুর্ভিক্ষ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত ৬৪ জেলায় যে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে, তার পরিমাণ ৩৬৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা। বর্তমানে দরিদ্র মানুষের হার সবচেয়ে বেশি কুড়িগ্রাম জেলায় (৭০.৮ শতাংশ) এবং সবচেয়ে কম নারায়ণগঞ্জ জেলায় (২.৬ শতাংশ)। কিন্তু এখন পর্যন্ত কুড়িগ্রামে মোট দরিদ্র জনসংখ্যার মাথাপিছু চাল বরাদ্দ মাত্র ৮৭৪ গ্রাম এবং মাথাপিছু অর্থ বরাদ্দ মাত্র ৩ টাকা ৮৫ পয়সা। অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জে দরিদ্র জনসংখ্যার মাথাপিছু চাল বরাদ্দ ২২ কেজি ৫৫৫ গ্রাম এবং মাথাপিছু অর্থ বরাদ্দ ৮৮ টাকা ১৭ পয়সা।
কুড়িগ্রামের পর সবচেয়ে বেশি দরিদ্র দিনাজপুর জেলায় (৬৪.৩ শতাংশ) দরিদ্রদের মাথাপিছু চাল ও অর্থ বরাদ্দের পরিমাণ যথাক্রমে ৬৭২ গ্রাম ও ৩ টাকা! অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জের পর দারিদ্র্যের হার কম হচ্ছে মুন্সীগঞ্জ জেলা (৩.১ শতাংশ)। সেখানে দরিদ্রদের মাথাপিছু চাল ও অর্থ বরাদ্দের পরিমাণ যথাক্রমে ২১ কেজি ৫১৭ গ্রাম ও ৯৫ টাকা ৮৩ পয়সা।
সংগঠনটির সমন্বয়ক হিসেবে ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া এবং সদস্য সচিব হিসেবে উন্নয়কর্মী রাখাল রাহার নাম ঘোষণা করা হয়। সংগঠনটির সঙ্গে মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান, হাসনাত কাইয়ুমসহ আরও অনেকে যুক্ত আছেন। করোনা দুর্যোগ অব্যাহত থাকা পর্যন্ত তারা কাজ করবেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের ভিপি নূরসহ অনেকে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন।
মন্তব্য করুন