শ্রমিকের মৃত্যু

চট্টগ্রামে নির্মাণাধীন ভবনের নয় তলা থেকে পড়ে দুই শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত আরও একজন। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের হাতব্যাগ তৈরির এক কারখানায় ছারপোকা মারতে ‘গ্যাস ট্যাবলেট’ দেওয়ার পর সেখান থেকে দুই কর্মীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে তারা কারখানার একটি ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। শনিবার দুপুরে তাদের মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ফরিদপুরে নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবন থেকে মাথায় ইট পড়ে জোবায়ের মোল্লা নামে এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে শহরের ঝিলটুলি মহল্লার অনাথের মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

চলতি বছরের শুরু থেকে ছয় মাসে সারাদেশে বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে ৪২০টি দুর্ঘটনায় ৪৭৫ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। ২০২৩ সালের একই সময়ে সারাদেশে ২৮৭টি দুর্ঘটনায় প্রাণ যায় ৩৮৯ জনের। বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরের ওপর ভিত্তি করে বেসরকারি সংস্থা সেফটি অ্যান্ড রাইটস সোসাইটি (এসআরএস) সোমবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় মো. ফরিদ মিয়া (২৭) নামের এক ইটভাটার শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩১ মে) উপজেলার বামনগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একই এলাকার নিহতের শাশুড়ি আনোয়ারা খাতুন, শ্যালিকা উম্মে কুলসুম ও কুলসুমের স্বামী সায়েদ আলীসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ।

সাতক্ষীরার তালায় ধানবোঝাই ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে উল্টে গিয়ে ২ ধানকাটা শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ সময় আরও অন্তত ৭ শ্রমিক আহত হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থাল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বজ্রপাতে ২ ধানকাটা শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকালে উপজেলার বীরবাসিন্দা ইউনিয়নের নোয়াবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) গত দেড় বছরে উন্নয়ন কাজে নিযুক্ত ৩ শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছেন। সর্বশেষ বুধবার ক্যাম্পাসে নির্মাণাধীন লেক থেকে এক শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে মে দিবসের র‍্যালি ও আলোচনা সভায় অংশ নিতে এসে অতিরিক্ত গরমে অসুস্থ হয়ে সাইদুল ইসলাম (৫৫) নামে এক মোটর শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।

চৈত্রের খরতাপে পুড়ছে মাজমতলি গ্রাম। লাল ধুলার পথটা সাপের মতো বয়ে চলেছে মরা বাড়ির দিকে। গ্রামে কেউ মারা গেলে তার বাড়িকে মরা বাড়িই বলে সবাই। রাস্তা ধরে বাড়িটির দিকে এগিয়ে যেতেই কানে ভেসে আসছে চাপা কান্নার আওয়াজ।