ঢাকা মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

সাহাবুদ্দীন আহমদের প্রথম জানাজায় মানুষের ঢল

সাহাবুদ্দীন আহমদের প্রথম জানাজায় মানুষের ঢল

সাবেক রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের কফিনে জেলা প্রশাসনের শ্রদ্ধা নিবেদন। ছবি- সমকাল

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২২ | ০৮:২৭ | আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২২ | ০৮:৩৩

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার পাইকুরা ইউনিয়নের পেমই গ্রামে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তার জানাজায় পেমই ছাড়াও কেন্দুয়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কয়েক হাজার লোক অংশগ্রহণ করেন।

শনিবার বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে উপজেলার পাইকুরা ইউনিয়নের পেমই গ্রামে সাহাবুদ্দীন আহমদের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে শনিবার বিকেলে ৩টায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে সাবেক রাষ্ট্রপতির মরদেহ কেন্দুয়া উপজেলা সদরের আদমপুর এলাকার হেলিপ্যাডে আনা হয়। এদিন জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক জিয়া আহমেদ সুমন এবং পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী ছাড়াও কেন্দুয়া উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা সাবেক রাষ্ট্রপতির মরদেহ গ্রহণ করেন।

এরপর স্বাস্থ্য বিভাগের একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে মরদেহটি উপজেলার পেমই গ্রামে সাবেক রাষ্ট্রপতির নিজ বাড়িতে নেওয়া হয়। সেখানে আগে থেকেই জড়ো হয়েছিলেন কয়েক হাজার মানুষ।

অ্যাম্বুলেন্স থেকে বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটের সময় মরদেহের কফিন সাহাবুদ্দীন আহমদের গ্রামের বাড়ির সামনে নামানো হয়। এরপর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক জিয়া আহমেদ সুমন, পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী, কেন্দুয়া উপজেলার নির্বাহী অফিসার মঈনউদ্দিন খন্দকার, কেন্দুয়া পৌরসভার মেয়র আসাদুল হক ভূঁইয়াসহ এলাকার বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে জেলা পুলিশের একটি দল সাবেক রাষ্ট্রপতিকে গার্ড অব অনার প্রদান করে।

বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে মুফতি শহিদুল ইসলামের পরিচালনায় সাহাবুদ্দীন আহমদের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার আগে সাবেক রাষ্ট্রপতির ছোট ছেলে সোহেল আহমেদ তার বাবার জন্য সবার দোয়া প্রার্থনা করেন।

সোহেল আহমেদ বলেন, বাবা সারাজীবন সাদামাটা জীবনযাপন করে গেছেন। তার কোন রকম উচ্চাকাঙ্খা ছিল না। নীতি ও আদর্শের বাইরে তিনি কোন কিছু করেননি। তিনি আমাদেরকেও সে শিক্ষাই দিয়ে গেছেন। দোয়া করবেন যাতে আমরাও বাবার আদর্শকে ধারণ করেই চলতে পারি। বাবার শেষ ইচ্ছা ছিল একবার গ্রামের বাড়িতে আসার। কিন্তু আমরা তার শেষ ইচ্ছা পূরণ করতে পারিনি।

জানাজার পর একই অ্যাম্বুলেন্সে সাবেক রাষ্ট্রপতির মরদেহ কেন্দুয়া সদরের আদমপুর এলাকার হেলিপ্যাডে নেওয়া হয়। এরপর হেলিকপ্টারে করে তার মরদেহ আবারও ঢাকার উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়।

সাহাবুদ্দীন আহমদের ছেলে সোহেল আহমেদ জানান, সাবেক রাষ্ট্রপতির মরদেহ প্রথমে গুলশানের নিজ বাসায় নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর রাতে সিএমএইচের হিমাগারে রাখা হবে। রোববার সুপ্রীম কোর্ট প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় জানাজার পর তাকে বনানীর কবরস্থানে দাফন করা হবে।    

আরও পড়ুন

×