বিদ্রোহীদের দাপটে ধরাশায়ী নৌকার ৪ প্রার্থী

সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০২৩ | ১৮:০০
হাতীবান্ধা ইউনিয়নে ৪ হাজার ৭৩৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন শাহজাহান খান। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত রনি আহমেদ পান ৩ হাজার ১৭৯ ভোট। হতেয়া-রাজাবাড়ী ইউনিয়েন ৩ হাজার ৯০৭ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন হুমায়ুন খান। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন পেয়েছেন ২ হাজার ৫৭৫ ভোট।
কালিয়ায় ৮ হাজার ৬৮১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন জামাল হোসেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন পেয়েছেন ৬ হাজার ৮৬৮ ভোট।
বড়চওনা ইউনিয়নে ৪ হাজার ৫৫০ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আজহারুল ইসলাম। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবদুল হালিম লাল পেয়েছেন ৪ হাজার ৩৩৭ ভোট। নির্বাচনে চার বিদ্রোহীর মধ্যে তিন প্রার্থীর প্রতীক ছিল মোটরসাইকেল ও একজনের অটোরিকশা।
নৌকার প্রার্থীদের ভরাডুবির কারণ দলীয় কোন্দল। জনবিচ্ছিন্ন ও অযোগ্যদের দলীয় মনোনয়ন দেওয়া, ভোটারদের প্রতি প্রার্থীদের মূল্যায়নে ঘাটতি, ওয়ার্ড পর্যায়ের কর্মীদের দৌরাত্ম্য। ভোটের ফলাফল বিশ্লেষণ, ভোটের আগে ও পরে আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের কর্মী-সমর্থক ও ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য উঠে এসেছে। তাদের দাবি, দেশের অন্যতম বিরোধী দল বিএনপি নির্বাচনী মাঠে নেই। নির্বাচন শুধুই আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তৃণমূলের একাধিক কর্মী সমকালকে জানান, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের শোচনীয় পরাজয় খুবই লজ্জার। পদ-পদবিতে সবাই থাকলেও হাল ধরার কেউ নেই। এ পরাজয় এ আসনের সংসদ নির্বাচনের জন্যও অশনিসংকেত।
তবে দলীয় কোন্দলের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনুপম শাহজাহান জয়। তাঁর ভাষ্য, দলীয় প্রার্থীদের বিজয়ী করতে ব্যাপক প্রচার চালানো হয়েছে। দ্রুত অভ্যন্তরীণ ত্রুটিগুলো চিহ্নিত করে সংশোধন করা হবে। আগামী সংসদ নির্বাচনে এ পরাজয়ের কোনো প্রভাব পড়বে না বলে দাবি তাঁর।