ঢাকা মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

কাজে আসছে না সেতুটি

কাজে আসছে না সেতুটি

aগোপালপুরের ঝাওয়াইল ইউনিয়নের মোহাইল গ্রামের গরিল্ল্যা বিলে সড়কবিহীন সেতু -সমকাল

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০২৩ | ১৮:০০ | আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০২৩ | ০৬:৩৭

টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার একটি বিলে নির্মাণ করা হয়েছে একটি সেতু। যার দু’পাশে নেই কোনো সংযোগ সড়ক ও বসতি। এ ছাড়া সেতুটির প্রায় ১০০ ফুট দূরে রেললাইন। সংযোগ সড়ক না থাকায় মানুষের কোনো কাজেই আসছে না সেতুটি। কেন কী কারণে এখানে সেতু নির্মাণ করা হয়েছে জানেন না কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

জানা গেছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অধীনে ঝাওয়াইল ইউনিয়নের মোহাইল গ্রামের গরিল্ল্যা বিলে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। ৩৬ ফুট দৈর্ঘ্যের সেতুটি নির্মাণে খরচ হয় প্রায় ৩৭ লাখ টাকা। অথচ গত চার বছরেও নির্মাণ করা হয়নি সেতুর সংযোগ সড়ক। সেতুর দুই পাশে বিল। তার ১০০ ফুট দূরে জামালপুর-বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব লাইন। সেতুর আশপাশে কোনো বসতিও নেই। মোফাজ্জল হোসেন সরকার নামে স্থানীয় একজন বলেন, ‘গরিল্ল্যা বিলে যে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে তার আশপাশে কোনো বসতি নেই। সেতুটির কোনো সংযোগ সড়কও নেই। এর ফলে সেতুটি এলাকাবাসীর কোনো কাজেই আসছে না। এভাবে সরকারের টাকা নষ্ট করেছে স্থানীয় উপজেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর।’

মোহাইল গ্রামের ব্যবসায়ী মহসিনের ভাষ্য, কয়েক বছর আগে এলাকাবাসীর স্বার্থে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু এখানকার মানুষের কোনো কাজে আসে না সেতুটি। এদিক দিয়ে কোনো মানুষের যাতায়াতও নেই। অযথা সরকারের লাখ লাখ টাকা খরচ করে সেতুটি করা হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে কথা হয় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আল মাসুমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘মাসখানেক আগে সেতুটি পরিদর্শন করেছি। বন্যার কারণে কয়েক মাস ধরে সংযোগ সড়ক তলিয়ে আছে। শুকনো মৌসুমে আরেকটি প্রকল্পের মাধ্যমে দ্রুতই সংযোগ সড়ক মেরামত করে মানুষের যাতায়াতের উপযোগী করে তোলা হবে।’ গোপালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসফিয়া সিরাত জানান, ঝাওয়াইল ইউনিয়নের মোহাইল গ্রামের গরিল্ল্যা বিলের সেতুটি সরেজমিন খোঁজ নেওয়া হবে। সংযোগ সড়ক না থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মীর রেজাউল হক বলেন, ‘সেতুটি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে করা। সেতুটি দেখেছি। এটি এলাকাবাসীর কোনো কাজে লাগে না। স্থানীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর সেতুটি কেন করেছে বিষয়টি জানা নেই আমার।’

আরও পড়ুন

×