- সারাদেশ
- বিনামূল্যে সাপ্তাহিক বাজার করল ৫০০ পরিবার
বিনামূল্যে সাপ্তাহিক বাজার করল ৫০০ পরিবার

স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাটটি পরিচালনা করা হয়েছে
করোনা মহামারি এবং সাম্প্রতিক সময়ে বৈরী আবহাওয়ায় বোরো ধান নষ্ট হওয়ায় ক্রয়সামর্থহীন কৃষক পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়াতে পবিত্র রমজান উপলক্ষ্যে মাসব্যাপী ফ্রি-হাট কর্মসূচি শুরু করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মুক্তির বন্ধন ফাউন্ডেশন। করোনা সংক্রমণরোধে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আঠারবাড়িতে এই কর্মসূচি পরিচালনা করা হয়। করোনা সংক্রমণরোধে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হাটের প্রবেশপথে হাত জীবানুমুক্ত করতে স্যানিটাইজার ব্যবহার ও ইনফারেড থার্মোমিটার দিয়ে প্রত্যেকের তাপমাত্রা নির্ণয় করা হয়। হাটের স্বেচ্ছ্বাসেবী দোকানি ও ক্রেতাদের হাতে গ্লাভস ও মুখে মাস্ক ছিল। প্রতিটি স্টল সাজানো হয় তিন ফুট দুরত্বে। থরে থরে সাজানো ছিল সরাসরি কৃষকের থেকে সংগৃহীত টাটকা সবজি, লাউ, টমেটো, কাঁচা মরিচ, মাছ, পেঁয়াজ, আলুসহ ইফতারের জন্য খেজুর।
আয়োজকরা জানান, আজকের হাটে ৫০০ পরিবারের বিনামূল্যে কেনাকাটার জন্য ছিল প্রয়োজনীয় বাজার সদাই। গত ১৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিত প্রথম হাটেও বিনামূল্যে পুরো এক সপ্তাহের প্রয়োজনীয় বাজার সদাই করেছিল ৫০০ পরিবার। এবারও এর ব্যত্যয় ঘটেনি। গত বছরের লকডাউনেও ফ্রি-হাটের আয়োজন করা হয়েছিল। সম্প্রতি কালবৈশাখী ঝড়, শীলাবৃষ্টি ও গরম বাতাসে ময়মনসিংহ অঞ্চলের বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় এবার এই এলাকায় কর্মসূচিটি পরিচালনা করা হচ্ছে। করোনা মহামারিতে স্বাস্থবিধি মেনে কিভাবে একটি আদর্শ বাজার পরিচালনা করা যায় সেদিকেও লক্ষ্য রাখা হয়েছে।
কর্মসূচি সমন্বয়কারী একে এম আজহারুল ইসলাম পলাশ জানান, কর্মহীন মধ্যবিত্ব পরিবারের যারা লোকলজ্জার কারণে সংকোচবোধ করেন তারা আমাদের ফোন করে সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। আমাদের স্বেচ্ছ্বাসেবীরা প্রয়োজনীয় বাজার তাদের বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছেন।
ফ্রি-হাটে সলিহাটি গ্রামের ক্রেতা লোকমান মিয়া (৫৫) বলেন, সারাবছর ধানদেনা করে চলি, আমাদের একমাত্র অবলম্বন হলো বোরো ধান আবাদ। এ বছর করোনার মধ্যে আবার গরম বাতাসে সব ধান নষ্ট হওয়ায় পরিবার নিয়ে মহা দু:চিন্তায় চোখে অন্ধকার দেখছি, রোজায় বাজার সদাই করি নাই। এই সংগঠনের মানুষেরা বাড়িতে বলে এসেছিলো, এখানে ফ্রি পুরা সপ্তাহের বাজার পাইয়া উপকৃত হইলাম। একটা সপ্তাহ এই নিয়ে রোজা রাখতে পারবো।
ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন বলেন, পবিত্র রমজান ও মহামারির মধ্যে ক্রয়সামর্থহীন মানুষের পাশে দাঁড়াতে পেরে আমরা আনন্দিত। পুরো রমজান মাসে আমাদের এই হাট চলমান থাকবে এবং ঈদ উপলক্ষ্যে সহস্রাধিক পরিবারের জন্য নতুন পোশাক দেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে।
মন্তব্য করুন