ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

হিমশীতল বাতাস ও ঘনকুয়াশা পঞ্চগড়ে

হিমশীতল বাতাস ও ঘনকুয়াশা পঞ্চগড়ে

পঞ্চগড়ে ঘনকুয়াশা। সোমবার সকাল ৯টায় শহরের ধাক্কামারা মোড় থেকে তোলা ছবি

পঞ্চগড় প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২ জানুয়ারি ২০২৪ | ১১:১৩

পঞ্চগড়ে দুইদিন ধরে দেখা মিলেনি সূর্যের। দিন ও রাতের তাপমাত্রা কমেছে। উত্তরের হিমশীতল বাতাস আর ঘনকুয়াশায় দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে জনজীবনে। মঙ্গলবার সকালে সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৬।

এদিকে দিনের তাপমাত্রা (সর্বোচ্চ তাপমাত্রা) আবারও কমেছে। রোববার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্ত সোমবার দিনের তাপমাত্রা আরও কমে রেকর্ড করা হয় ২২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

মঙ্গলবারও দিনভর ঠিকমতো সূর্যের দেখা মিলেনি। দুপুর পর্যন্ত হেটলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। সাথে উত্তরের হিমেল বাতাসের দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন রিকশা ভ্যান চালক ও কৃষি শ্রমিকরা। কমে গেছে কর্মজীবী মানুষের দৈনন্দিন আয়। ঠাণ্ডার কারণে কৃষি শ্রমিকরাও ফসলের ক্ষেতে কাজ করতে পারছেন না।

জেলা সদরের ধাক্কামারা ইউনিয়নের মালাদাম এলাকার কৃষক আব্দুর রহিম বলেন, আমাদের ভোরের দিকে ক্ষেতে কাজে যেতে হয়। ঠাণ্ডার কারণে হাত পা অবশ হয়ে আসে। ঠিকমতো কাজ করতে পারি না। এভাবে চললে আমাদের অনেক সমস্যা হয়।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। সোমবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুইদিন ধরে দিনের তাপমাত্রাও কমে গেছে। সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি সপ্তাহে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
 

আরও পড়ুন

×