ঢাকা বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে ৩ বাংলাদেশি আহত

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে ৩ বাংলাদেশি আহত

ছবি: সমকাল

বান্দরবান প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৪ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৭:৪১ | আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৯:০২

মিয়ানমার থেকে গরু আনতে গিয়ে পৃথক মাইন বিস্ফোরণে তিন বাংলাদেশি গুরুতর আহত হয়েছেন। এর মধ্যে আলী হোসেনের (৪০) বাম পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

শুক্রবার সকাল ৬টায় মিয়ানমার সংলগ্ন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার আশারতলী সীমান্তের নো-ম্যান্স ল্যান্ড এলাকায় সেখানকার বিদ্রোহীদের পুঁতে রাখা মাইনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহত আলী হোসেন আশারতলী গ্রামের মৃত মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে।

এদিকে সকাল সাড়ে ১০টায় সীমান্তের আরেক পয়েন্ট জামছড়ি এলাকায় মাইন বিস্ফোরণে স্থানীয় আরিফ উল্লাহ (৩০) গুরুতর আহত হন। তিনি সদর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জাফর আলমের ছেলে। তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

এছাড়া উপজেলার দোছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. রাসেল আহত হয়েছেন। তিনি মুজিবুর রহমানের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, আলী হোসেনসহ কয়েকজন চোরাকারবারি সীমান্তের ৪৭ নম্বর সীমান্ত পিলারের কাছে ২-এস পয়েন্টে গেলে বিকট শব্দে মাইন বিস্ফোরিত হয়। পরে সঙ্গে থাকা লোকজন আহত আলী হোসেনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।

এই বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম জানান, মাইন বিস্ফোরণে দুই জন আহত হওয়ার খবর শুনেছি। সীমান্ত এলাকা হওয়ায় বিষয়টি বিজিবি দেখছে।

জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরে বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারের বিদ্রোহীদের জন্য জ্বালানিসহ বিভিন্ন পণ্যের পাচার বেড়েছে। নাইক্ষ্যংছড়ি ও গর্জনিয়া বাজার থেকে এসব মালামাল পাচারের পাশাপাশি ওপার থেকে আসছে ইয়াবাসহ অবৈধ গরু।

প্রতিদিন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার আশারতলী, ফুলতলী, জামছড়ি, চাকঢালা, লেমুছড়ি, ঘুমধুম ও তুমব্রু এলাকা দিয়ে লাখ লাখ টাকার মালামাল পাচার হয়। এর সঙ্গে স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক নেতাকর্মীর সম্পৃক্ততা রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে বিজিবির এক কর্মকর্তা জানান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতারা এসব কাজে জড়িত। চোরাকারবারিরা প্রতিটি এলাকায় সিন্ডিকেট মজবুত করছে।

আরও পড়ুন

×