ইন্ডিয়া টুডের সঙ্গে বিশেষ সাক্ষাৎকারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কানাডা খুনিদের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠছে

ইন্ডিয়া টুডের কূটনৈতিক প্রতিবেদক গীতা মোহন ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। ছবি: সংগৃহীত
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১২:১৪ | আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১২:১৯
কানাডার মাটিতে খালিস্তান আন্দোলনের নেতা হরদীপ সিং নিজ্জারের হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে তলানিতে নেমেছে ভারত-কানাডা সম্পর্ক। প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো অভিযোগ করেছেন, এই হত্যাকাণ্ডে ভারত সরকার জড়িত। এর পাল্টা জবাবে ভারত বলছে, হরদীপসহ সন্ত্রাসবাদে জড়িতদের আশ্রয় দিচ্ছে কানাডা।
এমন প্রেক্ষাপটে দুই দেশের মধ্যে চলছে বাদানুবাদ। এ অবস্থায় ইন্ডিয়া টুডের কূটনৈতিক প্রতিবেদক গীতা মোহনের সঙ্গে এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বিভিন্ন দেশের খুনিরা কানাডায় আশ্রয় নিয়ে আরাম-আয়েশের জীবন যাপন করতে পারে। ফলে খুনিদের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠছে দেশটি।
শুক্রবার ইন্ডিয়া টুডের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ হওয়া ওই সাক্ষাৎকারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনি নূর চৌধুরীর প্রসঙ্গ টেনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মন্তব্যটি করেন। এছাড়াও কানাডার ‘প্রত্যর্পণ’ নীতি নিয়ে মুখ খুলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এমন পরিস্থিতিতে তাঁর খোলামেলা ও সরাসরি বক্তব্যকে সুস্পষ্ট অবস্থান হিসেবে দেখছে ভারতীয় গণমাধ্যম।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কোনোভাবেই কানাডার উচিত হবে না খুনিদের আশ্রয়স্থল হয়ে ওঠা। খুনিরা কানাডায় গিয়ে আশ্রয় নিতে পারে এবং সেখানে তারা আরাম-আয়েশের জীবন যাপন করে। বিপরীতে খুনের শিকার ব্যক্তির আত্মীয়-স্বজনেরা কষ্টের মধ্যে দিনাতিপাত করে।’
কানাডার মৃত্যুদণ্ডবিরোধী অবস্থানের সমালোচনা করে এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমাদের বিচার বিভাগ খুবই স্বাধীন এবং সরকার এতে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। বাংলাদেশে ফিরে এসে নূর চৌধুরী ও রশিদ চৌধুরী উভয়ই রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করতে পারেন। রাষ্ট্রপতি চাইলে তাঁদের আবেদন মঞ্জুর করতে পারেন এবং মৃত্যুদণ্ডকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে পরিবর্তন করতে পারেন।’
বিদ্যমান বন্দি প্রত্যর্পণ নীতি থেকে কানাডার সরে আসা নিয়ে বাংলাদেশ আশাবাদী কি না জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আশাবাদী মানুষ এবং সব সময়ই আশার পিঠে আশা রাখি। আমি বিশ্বাস করি, কানাডা সরকার একদিন এই নীতি (প্রত্যর্পণ) পরিবর্তন করবে। কারণ, কানাডা বিভিন্ন দেশের খুনিদের একটি আশ্রয়স্থল হয়ে উঠছে।’