ঢাকা মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

সাবেক সেনাপ্রধান ও পুলিশপ্রধান নিয়ে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র

সাবেক সেনাপ্রধান ও পুলিশপ্রধান নিয়ে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার। ছবি: সংগৃহীত

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৯ মে ২০২৪ | ১৭:৪৯ | আপডেট: ৩০ মে ২০২৪ | ১১:৫৯

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে উঠল সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ ও আইজিপি বেনজীর আহমেদ এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী ব্যক্তিদের প্রেরণের প্রসঙ্গ। এ বিষয়ে ওয়াশিংটনের অবস্থান তুলে ধরেন মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
 
দুর্নীতির সঙ্গে ব্যাপকভাবে জড়িত থাকার দায়ে আজিজ আহমেদের ওপর কয়েক দিন আগেই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আরও আগে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে। এ ছাড়া জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে মোতায়েন করা বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের রেকর্ড আছে বলে জার্মান সম্প্রচারমাধ্যম ডয়চে ভেলের একটি তথ্যচিত্রে অভিযোগ করা হয়েছে।

মঙ্গলবারের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, দুর্নীতি দমন ইস্যুটি মার্কিন নিরাপত্তা স্বার্থের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শান্তি এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতে শান্তিরক্ষা মিশন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে। এ ছাড়া ডয়চে ভেলের সাম্প্রতিক তথ্যচিত্র সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্র অবগত বলেও জানান তিনি। 

মানবাধিকার লঙ্ঘনের রেকর্ড আছে এমন ব্যক্তিদের জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে মোতায়েন করার বিষয়ে জানতে চান এক সাংবাদিক। ওই সাংবাদিক বলেন, চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে যুক্তরাষ্ট্র র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও ডয়চে ভেলেসহ তিনটি গণমাধ্যমের যৌথ তদন্তে জানা গেছে, এ বাহিনীর সাবেক এবং বর্তমান সদস্যরা নিয়মিতই জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী হিসেবে শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োগ পাচ্ছেন। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র কতটা উদ্বিগ্ন? কারণ যুক্তরাষ্ট্র শান্তিরক্ষা বাহিনীর মোট খরচের প্রায় ২৭ শতাংশ জোগান দিয়ে থাকে।

জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, এই রিপোর্টগুলো সম্পর্কে আমরা অবগত। আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার উন্নয়নে শান্তিরক্ষা কার্যক্রম অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে এবং শান্তিরক্ষায় নিয়োজিত কর্মীদের মানবাধিকার রক্ষা করা অপরিহার্য। ইউএন ডিউ ডিলিজেন্স পলিসি অনুসারে, জাতিসংঘ এ ক্ষেত্রে সৈন্য এবং পুলিশ প্রেরণকারী দেশগুলোর নিজস্ব প্রত্যয়নের ওপর নির্ভর করে। এসব দেশই  প্রত্যয়ন করে যে, তারা মানবাধিকার লঙ্ঘন বা আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘনে জড়িত সেনা বা পুলিশ সদস্যদের শান্তিরক্ষা মিশনে পাঠাচ্ছে না।

পৃথক এক প্রশ্নে ওই সাংবাদিক জানতে চান, বেনজীর আহমেদের ব্যাপক দুর্নীতির বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে দুটি মার্কিন নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। মার্কিন কোনো সংস্থা যুক্তরাষ্ট্রে বা অন্য কোনো দেশে তাঁর কোনো সম্পদের খোঁজ পেয়েছে কিনা এবং (যদি পাওয়া যায়) যুক্তরাষ্ট্র সেসব সম্পদ জব্দ করেছে কিনা? একইভাবে, আপনার কাছে কি দুর্নীতিগ্রস্ত সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ সম্পর্কে কোনো তথ্য আছে? যুক্তরাষ্ট্র কি বর্তমান সরকারের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেবে?

জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই মুখপাত্র বলেন, আপনার প্রথম প্রশ্ন প্রসঙ্গে বলব, ‘আমার কাছে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে বলার মতো কোনো তথ্য নেই। দ্বিতীয় প্রশ্নটির উত্তরে বলব, আপনার উল্লেখ করা অভিযোগ এবং মিডিয়া রিপোর্ট সম্পর্কে আমরা অবগত।’

তিনি বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করেই বলেছি, দুর্নীতি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করে। দুর্নীতির কারণে উন্নয়ন ব্যাহত হয় এবং তা সরকারকে অস্থিতিশীল এবং গণতন্ত্রকে দুর্বল করে বলে আমরা বিশ্বাস করি। এই (বাইডেন) প্রশাসনের শুরু থেকেই আমরা দুর্নীতিবিরোধী নীতিকে আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছি।’

মুখপাত্র মিলার আরও বলেন, এই নিয়েই এখন ঘোষণা করার মতো নতুন কিছুই আমার কাছে নেই। আপনি জানেন, নিষেধাজ্ঞা দেওয়া বা অন্যান্য পদক্ষেপ নেওয়ার আগে আমরা কখনোই তা আগাম ঘোষণা করি না।
 

আরও পড়ুন

×