সাহেদের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরায় অস্ত্র আইনে মামলা

সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলা থেকে সাহেদকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করে র্যাব
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২০ | ২১:২৮ | আপডেট: ১৫ জুলাই ২০২০ | ২১:৪২
করোনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট, অর্থ আত্মসাৎসহ নানা প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম ওরফে মো. সাহেদের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরায় অস্ত্র আইনে মামলা করেছে র্যাব।
বুধবার রাতে সাতক্ষীরার দেবহাটা থানায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এ মামলা করে। মামলায় সাহেদসহ তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।
রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযানের পর এক সপ্তাহ পালিয়ে থাকা সাহেদকে বুধবার ভোরে দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের লবঙ্গবতী নদীর তীর সীমান্ত এলাকা থেকে অবৈধ অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করে র্যাব।
দেবহাটা থানার ওসি বিপ্লব কুমার সাহা জানান, বুধবার রাতে র্যাব-৬ এর সিপিসি-১ এর উপ-সহকারী পরিচালক (ডিএডি) নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেছেন। ১৯৭৮ সালের আর্মস অ্যাক্টের ১৯-এ ধারাসহ ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ এর বি/এ ধারায় মামলাটি করা হয়েছে।
তিনি জানান, মামলায় সাহেদকে মূল আসামি, নৌকার মাঝি বাচ্চুকে পলাতক এবং অজ্ঞাত পরিচয় আরেকজনকে আসামি করা হয়েছে।
সাহেদের বিরুদ্ধে ৫৯টি মামলার সন্ধান পায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এর মধ্যে একাধিক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি ছিলেন সাহেদ। সর্বশেষ করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার নামে প্রতারণা এবং ‘করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে আসা এবং বাড়িতে থাকা রোগীদের করোনার নমুনা সংগ্রহ করে ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে ৬ জুলাই র্যাব প্রথমে উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরের ১৭ নম্বর সড়কে অবস্থিত রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালায়। সেখান থেকে ৮ জনকে আটকের পর র্যাবের দলটি মিরপুরে রিজেন্টের অন্য শাখায় অভিযান পরিচালনা করে।
পরদিন উত্তরা পশ্চিম থানায় র্যাব বাদী হয়ে সাহেদ করিমকে এক নম্বর আসামি করে মামলা করে। এরপর থেকে সাহেদ পলাতক ছিলেন। বুধবার ভোরে সাতক্ষীরায় অবৈধ অস্ত্রসহ বোরকা পরা অবস্থায় তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর তাকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় আনা হয়।