যাত্রী সেজে অটোরিকশায় উঠে চালককে হত্যা

ফাইল ছবি
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৩ | ১৫:২৯ | আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৩ | ১৫:২৯
রাজধানীর ডেমরা এলাকায় যাত্রীবেশী ছিনতাইকারীদের হাতে খুন হয়েছেন আলী হোসেন (৫৫) নামে এক সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক। বুধবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। এতে জড়িত এক ছিনতাইকারীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে জনতা। তাঁদের বুদ্ধিমত্তায় অটোরিকশা ফেলে পালাতে বাধ্য হয় ছিনতাই চক্রের অপর দুই সদস্য।
ডেমরা থানার এসআই আতিকুর রহমান সমকালকে বলেন, ছিনতাইকারীদের মারধরে আহত আলী হোসেনকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে প্রথমে তাঁর পরিচয় ছিল অজানা। পরে তাঁর আঙ্গুলের ছাপের সাহায্যে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যভাণ্ডার থেকে পরিচয় জেনে স্বজনদের খবর দেওয়া হয়।
নিহতের পরিচিত আরেক অটোরিকশা চালক আবদুর রহিম সমকালকে জানান, মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুর থেকে তিন যাত্রী নিয়ে সাইনবোর্ড এলাকায় আসেন আলী হোসেন। তখন যাত্রীরা তাঁকে আরও কিছুটা এগিয়ে যেতে বলে। এভাবে রাত ২টার দিকে তারা ডেমরার মদিনা চত্বর এলাকায় পৌঁছায়। সেখানে তিনজন মিলে তাঁকে মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে তাঁকে ধাক্কা দিয়ে অটোরিকশা থেকে ফেলে দেওয়া হয়। এরপর তারা অটোরিকশা চালিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। তখন আলী আহত অবস্থাতেই তাদের পিছু ধাওয়া করেন। আশেপাশের লোকজনও তাঁর সঙ্গে যোগ দেন। এসময় তারা ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য আল-আমিনকে ধরে ফেলেন। তবে অপর দু'জন অটোরিকশা নিয়ে কিছুদূর এগিয়ে যায়। এ সময় আল-আমিনের ফোন থেকে তার এক সহযোগীকে কল করেন উপস্থিত এক ব্যক্তি। তিনি ফোনে বলেন, অটোরিকশা ফেরত দিলে আল-আমিনকে ছেড়ে দেওয়া হবে। শেষে মদিনা চত্বর থেকে কিছুটা দূরে অটোরিকশা ফেলে পালিয়ে যায় দুই ছিনতাইকারী।
পুলিশ বলছে, অটোরিকশা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবেই যাত্রী সেজে ওঠে তিনজন। পলাতক দু'জনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। নিহত আলী হোসেনের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ সদরের শহিদ নগর এলাকায়। তবে তিনি পরিবারের সঙ্গে ফতুল্লার চর রসুলপুরে থাকতেন। তাঁর দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে।
- বিষয় :
- ছিনতাইকারী
- অটোরিকশা চালক
- হত্যা
- পুলিশ