- রাজধানী
- শাহবাগে আলোকচিত্রে কাশ্মীরের 'কালো দিবস'
শাহবাগে আলোকচিত্রে কাশ্মীরের 'কালো দিবস'

১৯৪৭ সালে কাশ্মীর দখলে পাকিস্তানের আগ্রাসনে প্রাণ হারায় বহু মানুষ। ধর্ষণের শিকার হয় কয়েক হাজার নারী। সেই ঘটনা স্মরণে প্রতিবছর কাশ্মীরে কালো দিবস পালিত হয়।
এ বছর দিবসটি উপলক্ষে রাজধানীর শাহবাগে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ও কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করে। ২২-২৫ অক্টোবর ওই চিত্র প্রদর্শনীতে ‘অপারেশন গুলমার্গ’-এর নৃশংসতা তুলে ধরা হয়। পাশাপাশি ১৯৭১ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে 'অপারেশন সার্চলাইট' অভিযানের নামে পশ্চিম পাকিস্তানের বর্বরতার ছবিও স্থান পায়।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশে পাকিস্তানি বাহিনীর অত্যাচার-নির্যাতন ও জাতির জনকের ওপর পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বরতা, ৩ নভেম্বরের জেল হত্যা, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ছবি প্রদর্শনীতে স্থান পায়।
১৯৪৭ সালের ২২ অক্টোবর কাশ্মীর দখলে নিতে ‘অপারেশন গুলমার্গ’ নামে একটি নৃশংস অভিযান চালায় পাকিস্তান। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ মদদে উপজাতীয় জঙ্গিদের সেই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কাশ্মীরের লাখ লাখ হিন্দু-মুসলিম-শিখ রুখে দাঁড়িায়। ওই অভিযানে ৪০ হাজার কাশ্মিরী মুসলিম, হিন্দু, শিখ প্রাণ হারায়। ১০ হাজার নারী ধর্ষণের শিকার হন এবং ২ হাজার নারীকে জোরপূর্বক পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়।
পরিকল্পিত সেই হামলায় হত্যাযজ্ঞের পাশাপাশি চলে লুটপাটও। হাসপাতালগুলোও সেই হামলা থেকে রেহাই পায়নি। তবে পাকিস্তানীরা জঙ্গিরা যখন শ্রীনগর দখলের চেষ্টা চালায় তখন তা কঠোরভাবে প্রতিহত করে কাশ্মিরীরা।
ইতিহাস থেকে জানা যায়, ধ্বংসযজ্ঞের মধ্যে দাঁড়িয়েই জম্মু ও কাশ্মিরের মহারাজা হারি সিং আক্রমণকারীদের প্রতিহত করতে ভারত সরকারের সমর্থন চান। সেই সঙ্গে রাজ্য বাঁচাতে ভারতের সঙ্গে এক হয়ে রাজ্য পরিচালনার চুক্তিতে সই করেন। পরে ভারতীয় সেনারা আক্রমণকারীদের ওপর পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে জম্মু ও কাশ্মিরকে সুরক্ষিত করে।
আরও পড়ুন