ব্রাহমা গরু কেলেঙ্কারি: ২ পরিচালকসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

ফাইল ছবি
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৪ | ১৫:১৮ | আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৪ | ১৮:৫৩
বেআইনিভাবে ব্রাহমা জাতের গরু আমদানি, জব্দ ও ভুয়া অনুমোদনপত্রে ছাড়করণের চেষ্টাসহ নানা অভিযোগে সরকারের কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামার ও প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের দুই পরিচালক, সাদিক অ্যাগ্রোর মালিকসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদরবাদী হয়ে কমিশনের ঢাকা-১ কার্যালয়ে মামলাটি করেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম।
মামলার আসামিরা হলেন- সাভারের কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারের পরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম, উপ-পরিচালক এবিএম সালাহ উদ্দিন, বায়ার অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ফিরোজ আহমেদ খান, খামারবাড়ি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক এবিএম খালেদুজ্জামান, সাদিক অ্যাগ্রো নামে প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. ইমরান হোসেন ও সাদিক অ্যাগ্রোর প্রকৃত মালিক তোহিদুল ইসলাম জেনিথ।
এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে প্রতারণা ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে নিজেরা লাভবান ও অন্যকে লাভবান করার হীন উদ্দেশ্যে দেশীয় দুগ্ধ ও গো-শিল্পের জন্য ক্ষতিকর কাজ করেছেন। তারা প্রজনন অনুপযোগী আমদানি নিষিদ্ধ গবাদিপশু অবৈধ প্রক্রিয়ায় কর্তৃপক্ষের ভুয়া অনুমোদনপত্র সৃজনপূর্বক আমদানি করে শুল্ক বিভাগ থেকে আটক ও সরকারের বাজেয়াপ্তকৃত সেই সকল পশু বিগত রমজান মাসে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক মাংস হিসেবে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়কেন্দ্রের মাধ্যমে জনগণের মাঝে সুলভ মূল্যে বিক্রয়ের সরকারি সিদ্ধান্ত থাকা সত্ত্বেও তা সম্পূর্ণরূপে অমান্য করেছেন। এবং সকল বিধিবিধান লঙ্ঘনপূর্বক নিলাম কমিটির মাধ্যমে নিলাম না করে কালিংকৃত ব্রাহামা জাতের ১৫টি গরু (যার মূল্য কমবেশি ১৫ কোটি টাকা) রেকর্ডপত্রে জবাই দেখিয়ে বাস্তবে জবাই না করে আত্মসাতপূর্বক দণ্ডবিধির ৪২০/৪০৯/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
- বিষয় :
- দুদক মামলা
- সাদিক অ্যাগ্রো
- ব্রাহামা গরু