বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি কমলো
বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০২২ | ১২:০০ | আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২২ | ২২:১৬
আশানুরূপভাবে বিনিয়োগ না বাড়লেও আমদানি খরচ বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন কারণে বাড়ছিল বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি। তবে আমদানি খরচ কমাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাপক উদ্যোগের মধ্যে এ প্রবৃদ্ধি কমে গেছে। সেপ্টেম্বর শেষে বেসরকারি খাতে বার্ষিক ঋণ প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ। আগের মাস আগস্টে যা ১৪ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশে উঠেছিল, যা ছিল ৪৫ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ছিল ১৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
চলতি অর্থবছরের মুদ্রানীতিতে বাংলাদেশ ব্যাংক বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন কমিয়ে ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ নির্ধারণ করে। গত অর্থবছরের মুদ্রানীতিতে যা ১৪ দশমিক ৮০ শতাংশ ছিল। তবে গত জুন পর্যন্ত ঋণ বেড়েছিল ১৩ দশমিক ৬৬ শতাংশ। ২০২০-২১ অর্থবছরেও একই প্রাক্কলন থাকলেও ঋণ প্রবৃদ্ধি হয় মাত্র ৮ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর শেষে বেসরকারি খাতে ঋণস্থিতি দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৭৯ হাজার ৪১৩ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময় শেষে যা ছিল ১২ লাখ ১০ হাজার ৭২২ কোটি টাকা। এর মানে এক বছরে ঋণ বেড়েছে এক লাখ ৬৮ হাজার ৬৯১ কোটি টাকা। গত আগস্ট শেষে ঋণ স্থিতি ছিল ১৩ লাখ ৬২ কোটি টাকা। মূলত আগের ঋণের সুদসহ প্রতি মাস শেষে বেসরকারি খাতের ঋণস্থিতির হিসাব করা হয়। ফলে যে পরিমাণ ঋণস্থিতি বেড়েছে, তার সবই নতুন ঋণ নয়।
সংশ্নিষ্টরা জানান, করোনা-পরবর্তী বৈশ্বিক চাহিদা বেড়েছে। এর মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে খাদ্য, জ্বালানিসহ অধিকাংশ পণ্যের দর অনেক বেড়ে যাওয়ায় একই পণ্য কিনতে আগের তুলনায় অনেক বেশি খরচ হচ্ছে। বৈদেশিক মুদ্রার ওপর চাপ কমাতে আমদানিতে রাশ টানার নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তুলনামূলক কম প্রয়োজনীয় ও বিলাসবহুল পণ্য আমদানি কমাতে অনেক ধরনের পণ্যে শতভাগ পর্যন্ত এলসি মার্জিন নির্ধারণ করা হয়েছে। আবার ১০ লাখ ডলারের বেশি এলসি খোলার আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে তথ্য দিতে হচ্ছে। এ কারণে ঋণেও লাগাম পড়েছে।