যৌন হেনস্তা নিয়ে মমতা-ঋতাভরীর বৈঠক থেকে কী সিদ্ধান্ত এল!

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ঋতাভরী চক্রবর্তী
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১৪:০২ | আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১৪:৪৪
আরজি কর হাসপাতালে নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার পর থেকেই উত্তাল পুরো পশ্চিমবঙ্গ। বিচার দাবিতে চলছে আন্দোলন সংগ্রাম। এমন অবস্থার মধ্যেই যৌন হেনস্তার মত গুরুতর বিষয় নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে তোলপাড় শুরু হয়েছে। প্রায় ডজন খানেক অভিনেত্রী ফিল্মপাড়ায় যৌন হয়রানি নিয়ে মুখ খুলেছেন। অভিযোগ উঠেছে পরিচালক অরিন্দম শীল, অভিনেতা জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত নির্মাতাদের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে নবান্নে যান অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একান্ত বৈঠক হয় তার। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষ করে সোজা গাড়িতে উঠে বেরিয়ে যান ঋতাভরী।
এর আগে অভিনেত্রী ঋতাভরী জানিয়েছিলেন, অতীতে তিনি টালিপাড়ায় যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছেন। এ বার বাংলা সিনেমা জগতে যৌন হেনস্থা রুখতেই নাকি উদ্যোগী ঋতাভরী। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ ঘিরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জল্পনা। কী কথা হল দু’জনের?
ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা বলছে, ঋতাভরী নাকি হেমা কমিশনের ধাঁচে একটি কমিটি তৈরির প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীও নাকি চাইছেন হেমা কমিশনের ধাঁচে একটি কমিটি তৈরি হোক বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে। যে কমিটি বাংলা বিনোদন দুনিয়ার সঙ্গে যুক্ত সর্ব স্তরের মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করবে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে নাকি সন্তুষ্ট ঋতাভরী।
গেল সপ্তাহে ঋতাভরী অভিযোগ করে বলেন, মালয়ালাম চলচ্চিত্র জগতের যৌন হেনস্থার ঘটনা প্রকাশ্যে এনেছে হেমা কমিশনের রিপোর্ট। আমি ভাবছি, বাংলা চলচ্চিত্র জগতে কেন এই ধরনের পদক্ষেপ করা হচ্ছে না? প্রায় এই একই ধরনের ঘটনা আমার সঙ্গে ঘটেছে। জানি আরও কয়েক জন টালিপাড়ার অভিনেত্রীর সঙ্গেও ঘটেছে। নায়ক, প্রযোজক ও পরিচালকেরা ঘৃণ্য মানসিকতা নিয়েও কাজ করে চলেছেন। তাদের এই সমস্ত কাজের কোনও শাস্তি বা পরিণতি নেই। আরজি করের ঘটনায় এঁদের মোমবাতি হাতে হাঁটতে দেখা গিয়েছে, যেন ওরা নিজেরা মহিলাদের মাংসপিণ্ডের থেকে বেশি কিছু ভাবেন!
- বিষয় :
- ঋতাভরী চক্রবর্তী
- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়