ক্যালসিয়াম ছাড়াও হাড় মজবুত করতে প্রয়োজন ৫ উপাদান

বয়স বাড়লে হাড়ের ক্ষয় হওয়া স্বাভাবিক। আর মেয়েদের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট একটা বয়সের পর শরীরে বিভিন্ন রকম হরমোনের পরিমাণ কমতে শুরু করে। এই সব হরমোন সরাসরি না হলেও পরোক্ষভাবে হাড়ের ক্ষয় রোধ করতে সাহায্য করে। পুরুষদের ক্ষেত্রেও বিষয়টা নারীদের মতো দ্রুত না হলেও অস্টিয়োপোরোসিসের সমস্যা দেখা দেয়। হাড়ের ক্ষয় রোধে ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার খাওয়া খুবই জরুরি। তবে শুধু ক্যালসিয়াম খেলেই যে হাড় ভাল থাকবে, তা নয়। বরং কিডনি বা মূত্রনালিতে এই খনিজটি জমলে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। ক্যালসিয়ামকে সঠিক ভাবে কাজে লাগাতে প্রয়োজন আরও পাঁচ উপাদান। যেমন-

জ়িঙ্ক : রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে জ়িঙ্ক। অস্টিয়োপোরোসিসের মতো রোগ প্রতিরোধে জ়িঙ্ক অপরিহার্য। দুগ্ধজাত খাবার, কুমড়ো বীজ, বাদাম এবং ডিমের মধ্যেও জ়িঙ্ক থাকে।

ভিটামিন সি: হাড়ের ঠিকমতো বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন সি অত্যন্ত প্রয়োজন। এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। ফলে সামগ্রিকভাবে হাড়ের অসুখের ঝুঁকি কমে। শরীরে ভিটামিন সি’য়ের জোগান দিতে নিয়মিত কমলালেবু ও মুসম্বি খেতে পারেন।

ভিটামিন কে টু : হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে ভিটামিন কে অত্যন্ত জরুরি । হাড়ের উপর কতটা ক্যালসিয়াম সঞ্চিত হবে, তা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে ভিটামিন কে। শরীর যাতে যথেষ্ট ভিটামিন কে পায়, সেজন্য খাদ্যতালিকায় রাখুন ব্রকোলি, পালং শাক, বাঁধাকপি ও লেটুস।

ম্যাগনেসিয়াম: হাড়ের অন্তবর্তী গ্রন্থিগুলিতে ম্যাগনেশিয়াম থাকে। অস্টিওপোরোসিসের মতো অসুখের ঝুঁকিও কমায় ম্যাগনেশিয়াম। নানা রকম বীজ, বাদাম ও দানাশস্য থেকে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায়।

ভিটামিন ডি : ভিটামিন কে-র পাশাপাশি হাড়ের ঘনত্ব বাড়াতে ভিটামিন ডি-ও অত্যন্ত জরুরি। ভিটামিন ডি ছাড়া শরীর ক্যালশিয়াম শোষণ করতে পারে না। পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি ছাড়া খাবার থেকে প্রাপ্ত ক্যালসিয়ামের মাত্র ১০-১৫ শতাংশ শোষিত হয়। ভিটামিন ডি পেতে দিনে অন্তত মিনিট ১৫ সূর্যের আলোয় দাঁড়ান। সেই সঙ্গে খাদ্যতালিকায় রাখুন সয়াবিন, পালং শাক, বড় মাছ।