ঢাকা শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫

পুলিশ কর্মকর্তা হয়েছেন বোন, খুশিতে কাঁধে করে গ্রাম ঘোরালেন ভাইয়েরা

পুলিশ কর্মকর্তা হয়েছেন বোন, খুশিতে কাঁধে করে গ্রাম ঘোরালেন ভাইয়েরা

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২২ | ০২:৩১ | আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২২ | ০২:৩১

কৃষক বাবার মেয়ে হেমলতা জাখড়া। বাবার জমিজমাও অল্প। সেই জমি চাষ করে যা আয় হয় তা দিয়েই সংসার চালান কৃষক বাবা। টানাটানির সংসারে বেড়ে ওঠা হেমলতার স্বপ্ন ছিল কিছু একটা করতেই হবে। সেই জেদে ভর করেই শত বাধা বিপত্তির মুখে পড়েও পুলিশে যোগ দেন তিনি। আর শুধু যোগ দেওয়াই নয়, সাব-ইনস্পেক্টর হয়ে এলাকা, মহল্লা, গ্রামের সকলকে লাগিয়ে দিন হেমলতা। আর বোনের এমন সাফল্যে খুশিতে ভাইয়েরা হেমলতাকে নিজেদের কাঁধে তুলে গোটা গ্রাম ঘোরান।

ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, হেমলতা জাখড়া ভারতের রাজস্থানের বাড়মের জেলার ছোট গ্রাম সরণুর বাসিন্দা। তারই সমবয়সী মেয়েরা যখন গ্রামের সীমানা পেরিয়ে অন্যত্র যাওয়ার সাহস দেখাতে পারেননি, সেখানে হেমলতা সেই বেড়া ভেঙে বাইরে বেরিয়েছেন। শুধু বেরই হননি, নিজের লক্ষ্য পূরণ করে তবেই বাড়ি ফিরেছেন।

হেমলতার এমন সাফল্যে খুশি গোটা গ্রাম। পুলিশ কর্মকর্তা হয়ে গ্রামে পা রাখতেই তাকে ফুল ছড়িয়ে স্বাগত জানান গ্রামবাসী।

এক সাক্ষাৎকারে হেমলতা জানান, নিজ গ্রামেরই একটি স্কুলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন তিনি। তার পর নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনার জন্য গ্রামের বাইরের একটি স্কুলে ভর্তি হতে হয়েছিল তাকে। রোজ ১৪ কিলোমিটার হেঁটে যেতেন সেখানে।

হেমলতার কথায়, ছোট থেকেই স্বপ্ন ছিল পুলিশ হব। পুলিশের ইউনিফর্ম আমাকে আকৃষ্ট করত। আর সেই ইউনিফর্ম গায়ে পরার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করেছি।

হেমলতা জানিয়েছেন, তার গ্রামের কোনও পুরুষ বা নারী সাব-ইনস্পেক্টর হননি। পুলিশেও চাকরি করেননি। তিনিই প্রথম পুলিশে যোগ দিয়েছেন এবং সাব-ইনস্পেক্টর হয়েছেন। হেমলতার বাবা জানান, মেয়ে পুলিশের চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে শুনে গ্রামবাসীরা হাসি-ঠাট্টা করতেন। কিন্তু মেয়ের প্রতি তার ভরসা ছিল। মেয়ে পুলিশ অফিসার হয়ে আসায় তিনিও বেশ আনন্দিত।

আরও পড়ুন

×