আউটসোর্সিং
বিপিও শিল্পোন্নয়নে বাক্কো ও বিটিআরসি
বিপিও শিল্পকে স্থানীয় ও বৈশ্বিক পর্যায়ে আরও সম্প্রসারণ করতে সঠিক নীতিমালা প্রণয়ন, বৈশ্বিক ব্র্যান্ডিং ও বৈশ্বিক প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ প্রয়োজন
আইসিটি ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২৩:৪৮ | আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৮:৫৬
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কন্ট্যাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো) ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) যৌথ উদ্যোগে বিশেষ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। যার মূল উদ্দেশ্য বাংলাদেশের কল সেন্টার ও বিপিও (বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং) শিল্পের সম্ভাবনা, চ্যালেঞ্জ ও টেকসই উন্নয়নে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ।
বক্তারা বলেন, বিপিও শিল্পের একক বাণিজ্য সংগঠন হিসেবে ২০০৮ সালে বাক্কো যাত্রা শুরু করে। ইতোমধ্যে প্রায় ৮৫ হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। বর্তমানে বছরে এই খাত ৮০ কোটি ডলার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রাখছে। ২০২৫ সালের মধ্যে এই খাতের রপ্তানি আয় এক বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যে কাজ করছে বাক্কো।
কর্মশালায় বিশেষ গুরুত্ব পাওয়া কয়েকটি বিষয়ের মধ্যে কল সেন্টার ও বিপিও নিবন্ধন প্রক্রিয়া সরলীকরণ, লাইসেন্স শর্তাবলি আধুনিকায়ন, নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে জরুরি সেবার আওতায় অন্তর্ভুক্তকরণ ও কল সেন্টার গাইডলাইনের সংশোধন অন্যতম।
বাক্কোর সভাপতি তানভীর ইব্রাহীম বলেন, বিপিও শিল্পকে স্থানীয় ও বৈশ্বিক পর্যায়ে আরও সম্প্রসারণ করতে সঠিক নীতিমালা প্রণয়ন, বৈশ্বিক ব্র্যান্ডিং ও বৈশ্বিক প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা জরুরি। আইএওপির মতো আন্তর্জাতিক সংগঠনের সদস্যপদ গ্রহণ ও স্থানীয় বাজারে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে খাতটি শক্তিশালী করা সম্ভব।
বিটিআরসির কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ইকবাল আহমেদ বলেন, বিপিও শিল্পের উন্নয়নে সম্মিলিত প্রচেষ্টার বিকল্প নেই। টেলিযোগাযোগ খাতের বিদ্যমান সবকটি সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে কাজ করব।
সভায় অনেকেই বিপিও ও আইটিইএস শিল্পের কয়েকটি দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
বক্তারা বলেন, অংশীদারিত্ব হস্তান্তর ফি ও কঠোর বিধিনিষেধের কারণে নতুন উদ্যোক্তারা সংশ্লিষ্ট খাতে বিনিয়োগ করতে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন, যা শিল্পের বিকাশে বাধা সৃষ্টি করছে। তাই এ বিষয়ে তাদের তরফ থেকে বিটিআরসির যথাযথ উদ্যোগের অনুরোধ জানানো হয়।