২১ আগস্টের হামলা

২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার দুই মামলায় বিচারিক আদালতের দেওয়া সাজা বাতিল করে ১ ডিসেম্বর রায় দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

বহুল আলোচিত গ্রেনেড হামলার মামলায় সব আসামি খালাস পেয়েছেন গত ১ ডিসেম্বর হাইকোর্টের এক রায়ে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকায় তৎকালীন প্রধান বিরোধী দল আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে নৃশংস গ্রেনেড হামলা হয়েছিল। এতে ২৪ জন নিহত ও তিন শতাধিক আহত হন। সে মামলায় নিম্ন আদালতে ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।

বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় বিচারিক আদালতের রায়কে অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। এতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ৪৯ আসামিই মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন।

২১ আগস্ট, ২০০৪। ২৩, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের চারপাশে উপচে পড়া ভিড়। দেশের বিভিন্ন স্থানে বোমা হামলার প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ডাকে সমাবেশ শেষে সন্ত্রাসবিরোধী শান্তি মিছিল হওয়ার কথা ছিল সেই দিন।

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় হাইকোর্টের রায়ের কারণ দেখে ও নির্দেশনা নিয়ে তারপর আপিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ২০১১ সালে আসামি মুফতি হান্নানের জবানবন্দির ভিত্তিতে সস্পুরক চার্জশিট দেওয়া হয়। ওই চার্জশিটের ভিত্তিতে বিচারিক আদালত বিচার করেন, যা আইনগতভাবে গ্রহণযোগ্য ছিল না।

বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় ঘোষণা শুরু হয়েছে। রোববার বেলা ১১টার দিকে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রায় ঘোষণা শুরু করেন।

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর হাইকোর্টে নতুন করে শুরু হওয়া চাঞ্চল্যকর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদন) এবং বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের করা আপিলের ওপর আজ রোববার রায় ঘোষণা হবে।

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর হাইকোর্টে নতুন করে শুরু হওয়া চাঞ্চল্যকর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদন) এবং বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের করা আপিলের শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে যেকোনো দিন রায় ঘোষণা করবেন হাইকোর্ট।

সাজাপ্রাপ্ত আসামি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে কিছু আইনগত জটিলতা আছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।