‘ধর্ষণকাণ্ডে’ সালিশি বৈঠক, জরিমানা ৫১ হাজার টাকা

ছবি-সংগৃহীত
নওগাঁ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০ এপ্রিল ২০২২ | ০৯:০১ | আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২২ | ০৯:০৫
নওগাঁর মান্দা উপজেলার কশব ইউনিয়নে স্বামী পরিত্যাক্ত নারীকে ‘ধর্ষণের’ পর ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সালিশি বৈঠকে ৫১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে তা নিজের জিম্মায় রেখেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযুক্ত চেয়ারম্যান ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ উঠার পর পুলিশ বলছে, ধর্ষণের অভিযোগ সালিশি বৈঠকে মীমাংসাযোগ্য নয়।
ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ, চকচোয়ার গ্রামের মৃত আছির উদ্দীনের ছেলে মামুনুল ইসলাম ওরফে মামনুর (৩০) নামে এক যুবক ‘বিয়ের প্রলোভন’ দেখিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলেন। পরে বিয়ের দাবি জানালেন মামনুর তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান।
তিনি গত রোববার মামুনুল ইসলামের বিরুদ্ধে মান্দা থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেন। মামলাটির প্রাথমিক তদন্তে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মান্দা থানার উপ-পরিদর্শক অর্জুন কুমার। এরপর বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে অভিযুক্ত যুবকের পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনরা বিভিন্ন মহলে তদবির শুর করেন।
পরে মঙ্গলবার রাতে কশব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান সালিসি বৈঠক ডাকেন।
ভুক্তভোগী নারী অভিযোগ করেন বলেন, ‘স্থানীয় মেম্বার ও মাতবররা আমাকে কৌশলে সালিশে উপস্থিত করানো হয়। এরপর ওই বৈঠকে আমার কথা আমলে না নিয়ে মাতবররা মামুনুলের পক্ষে কথা বলেন। চেয়ারম্যান জরিমানার যে রায় দিয়েছেন সেই টাকাও আমাকে দেওয়া হয়নি। আমাকে বিচার পাইয়ে দেওয়া কথা বলে সেখানে ডেকে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা হয়নি। আমি ন্যায়বিচার দাবি করছি।’
ইউপি সদস্য আব্দুল জব্বার বলেন, বিষয়টি মিমাংসা করে দেওয়ার জন্য সবাই চাপাচাপি করেছে। তাই চেয়ারম্যানকে নিয়ে নিষ্পত্তি করে দেওয়া হয়েছে। জরিমানার টাকা তার হেফাজতে রয়েছে। ’
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান জানান, ভুক্তভোগী নারী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্তের জন্য উপ-পরিদর্শক অর্জুন কুমারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত সম্পন্ন হলেই মামলা রেকর্ড করা হবে।
তিনি বলেন, ধর্ষণের অভিযোগ কোনোভাবেই সালিশি বৈঠকে মীমাংসাযোগ্য নয়।
- বিষয় :
- ধর্ষণ
- সালিসি বৈঠক
- ইউপি চেয়ারম্যান
- রাজশাহী
- নওগাঁ
- মান্দা