বৈরাগীর খালে বইবে স্বাস্থ্যকর হাওয়া
কচুরিপানা পরিস্কার করছেন শ্রমিকরা সমকাল
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২ আগস্ট ২০২২ | ১২:০০ | আপডেট: ০২ আগস্ট ২০২২ | ২২:৪০
স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে গোপালগঞ্জে জেলা শহরের প্রাণ বৈরাগীর খালের কচুরিপানা অপসারণ করছে জেলা প্রশাসন ও পৌরসভা। এতে খালের ওপর নির্মল ও স্বাস্থ্যকর হাওয়া বইবে।
জেলা শহরের সাতটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মী ও পৌরসভার শ্রমিকরা গতকাল মঙ্গলবার চতুর্থ দিনের মতো খালটি পরিস্কারের কাজ করেছেন। আগামী শুক্রবারের মধ্যে খালটির কচুরিপানা পরিস্কার করা হবে বলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
গত শনিবার শহরের যুগশিখা স্কুল প্রান্তে মেয়র শেখ রকিব হোসেন বৈরাগীর খাল পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা কাজের উদ্বোধন করেন।
চার কিলোমিটার দীর্ঘ বৈরাগীর খালটি দখল ও দূষণে বিপন্ন হয়ে পড়ে। জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা ২০২১ সালে খালটি দখলমুক্ত করেন। পরে খনন করে খালের মুখে সেতু নির্মাণ করে মধুমতী নদীর সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে দেন। এরপর খালটি প্রাণ ফিরে পায়। গত শুস্ক মৌসুমে খালটি কচুরিপানায় ভরে যায়। ফলে পানি পচে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। জন্মাতে শুরু করে মশা-মাছি। খালের পানি থেকে এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল। এতে খালের দুই পাড়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা ও নবনির্বাচিত পৌর মেয়র শেখ রকিব হোসেন খাল থেকে কচুরিপানা অপসারণ এবং পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার উদ্যোগ নেন।
গোপালগঞ্জ সদরের ইউএনও মহসিন উদ্দিন বলেন, স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে সাতটি সংগঠনের ২৭০ জন স্বেচ্ছাসেবক ও পৌরসভার ৮০ জন শ্রমিক খালটির কচুরিপানা শনিবার থেকে পরিস্কার করছেন। কচুরিপানা আগামী শুক্রবারের মধ্যে পরিস্কারের টার্গেট নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে খালের অর্ধেকের বেশি অংশের কচুরিপানা অপসারণ সম্ভব হয়েছে।
মেয়র বলেন, বৈরাগীর খালের কচুরিপানা পরিস্কার হলে পৌরবাসীর স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। রোগবালাই কমবে। খালপাড়ের মানুষ সুস্থ থাকবে।
জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেন, রোভার স্কাউট, সূর্য শিশির ফাউন্ডেশন, স্বপ্ন ফেরিওয়ালা, মামাস, আসপ, বিডি ক্লিন, রেড ক্রিসেন্টসহ সাতটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এ কাজে অংশ নিয়েছে। তাদের সঙ্গে পৌরসভার শ্রমিকরাও কাজ করছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজ জেলা এটি। তাই গোপালগঞ্জকে ক্লিন ও গ্রিন হিসেবে গড়ে তুলতে এই উদ্যোগ।
- বিষয় :
- কচুরিপানা
- স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন