এডিপির টাকায় চলছে পুকুর ভরাট কাজ

মুক্তাগাছা উপজেলা পরিষদের ভবন নির্মাণে সরকারি পুকুর ভরাট - সমকাল
মুক্তাগাছা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ আগস্ট ২০২৩ | ১৮:০০
প্রাচীন পুকুর ভরাট করে প্রস্তুত করা হচ্ছে মুক্তাগাছা উপজেলা পরিষদের নতুন ভবন নির্মাণের জায়গা। রাত-দিন মাটি ফেলে ভরাট করা হচ্ছে পুকুরটি। অথচ জলাশয় ভরাট করা আইনে নিষিদ্ধ। পুকুর ভরাট নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে সমালোচনার ঝড় বইছে। তবে উপজেলা প্রশাসন বলছে, নতুন পরিষদ ভবন নির্মাণের জায়গা সংকট থাকায় পুকুর ভরাট করা হচ্ছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) থেকে জানা গেছে, মুক্তাগাছা উপজেলা পরিষদের আট তলা ভবন নির্মাণে একটি প্রকল্প এলজিইডিতে পাঠানো হয়েছে। প্রথম অবস্থায় চার তলা ভবনের কাজ শুরু হবে। এখন ভবন নির্মাণের জায়গা প্রস্তুতের কাজ চলছে। জায়গা প্রস্তুত করতে গিয়ে ভরাট করা হচ্ছে প্রাচীন একটি পুকুর। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) ১৪ লাখ টাকা খরচ করে পুকুরটি ভরাটের কাজ চলছে।
পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে যে কোনো ধরনের জলাশয় ভরাট করা নিষিদ্ধ। তবে এ আইনের তোয়াক্কা না করে সরকারি পুকুর ভরাট করছে উপজেলা প্রশাসন। জায়গার সংকট দেখিয়ে পুকুরটি ভরাট করার কথা জানিয়েছেন তারা। অথচ নতুন ভবন নির্মাণে অনেক জায়গা রয়েছে পরিষদ ভবন এলাকায়।
মুক্তাগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি দেবাশীষ ঘোষ বাপ্পীর ভাষ্য, ভবন করার মতো অনেক জায়গা রয়েছে পরিষদ এলাকায়। এর পরও প্রায় ৫০ বছরের পুরোনো একটি পুকুর ভরাট করতে হয় কেন? তাঁর দাবি, পুকুর ভরাট করার কারণে পরিবেশের ভারসাম্যহীনতা দেখা দেবে। তাই পুকুর ভরাটের কাজ বন্ধের আহ্বান তাঁর।
পুকুর ভরাটের বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রথম অবস্থায় পাঁচ তলা ভবনের কাজ শুরু হয়েছিল। পরে আট তলা ভবন নির্মাণের জন্য বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। এ জন্যই জায়গা প্রস্তুত করা হচ্ছে। বিশাল বড় ভবনের জায়গা সংকট দেখা দেওয়ায় এডিপির টাকায় পুকুরের বেশির ভাগ অংশ ভরাট করা হচ্ছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই আকন্দের ভাষ্য, বিশাল ভবন নির্মাণে জায়গার সংকট দেখা দেওয়ায় পুকুর ভরাট করা হচ্ছে। সরকারিভাবে জলাশয় ভরাটে নিষেধ থাকার পরও উপজেলা পরিষদের সভায় পুকুর ভরাটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
- বিষয় :
- মুক্তাগাছা
- এডিপির টাকা
- পুকুর ভরাট