- সারাদেশ
- মুরাদনগরে সাংবাদিক ও তার পরিবারকে কুপিয়ে জখম
মুরাদনগরে সাংবাদিক ও তার পরিবারকে কুপিয়ে জখম

সাংবাদিক শরিফুল আলম চৌধুরী
মুরাদনগরে সাংবাদিক শরিফুল আলম চৌধুরীরকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দিয়েছে চেয়ারম্যান শাহজাহান বাহিনীর লোকজন। তার বাবা ও বৃদ্ধ মাকে কুপিয়েও জখম করা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার দারোরা ইউনিয়নের কাজিয়াতল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনার মূল মদদদাতা ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান মিয়াকে গ্রেফতার করেছে। এ ঘটনায় চেয়ারম্যানসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

সাংবাদিক শরিফুল আলম চৌধুরীর বাবা আহত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন চৌধুরী বলেন, দারোরা ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির সংবাদ প্রকাশ করে আমার ছেলে। উক্ত ঘটনায় ক্ষীপ্ত হয়ে আমার ছেলেকে আগে থেকেই হুমকি ধামকি দেয় চেয়ারম্যান ও তার দলবল। এ নিয়ে ফেসবুকেও একাধিকবার তার নিরপত্তাহীনতার কথা প্রকাশ করে শরিফ। বিশেষ একটি মহলের ইন্ধনে শরিফের বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়। নিজেকে অনিরাপদ ভেবে এক মাস বাড়ির বাইরে ছিল। গত সপ্তাহে সে বাড়িতে আসে। শরিফ বাড়িতে আছে এ খবর পেয়ে শনিবার দুপুরে চেয়ারম্যান শাহজাহানের লোকজন বাড়িতে ঢুকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে তার দুই হাত পা ভেঙে দেয়। আমি ও তার মা তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে আমার ডান হাতে কোপ দেয় এবং পিটায়। তার মা আহত হয়।আমাদের চিৎকারে চেয়ারম্যানের লোকজন ভয়ে এগিয়ে আসার সাহস পায়নি। এক ঘণ্টার মতো বাড়িতে ছিলাম। পরে তাকে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দ্রুত কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠান।আমরা তাকে মুরাদনগর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছি।
শরিফুল আলম চৌধুরীর বোন সুলতানা চৌধুরী মুন্নী বলেন, আমি হামলাকারীদের হাতে কামড় দিয়ে দৌড়ে অন্যের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিই।
মুরাদনগর থানার ওসি এ কে এম মনজুর আলম বলেন, শরিফকে এ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে হাসপাতালে পাঠাই। অপর দিকে চেয়ারম্যান শাহাজাহানকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসি। তার বাবা বাদী হয়ে মামলা রুজু করেছেন। অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য করুন