ঢাকা শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

৩ কিলোমিটার দূরে চিঠি পৌঁছাতে লাগল এক মাস

৩ কিলোমিটার দূরে চিঠি পৌঁছাতে লাগল এক মাস

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৩ অক্টোবর ২০২৩ | ১৭:০৫ | আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২৩ | ১৭:০৫

দূরত্ব মাত্র তিন কিলোমিটার। অথচ একটি চিঠি পৌঁছাতে সময় লাগল এক মাস। এমন ঘটনা ঘটেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে। সংবাদকর্মী কামরুল ইসলাম রতন চিঠি পৌঁছাতে পোস্ট অফিসের গাফিলতির বিষয় তুলে ধরেছেন ফেসবুকে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন লোকজন।

ডাক বিভাগের তথ্যমতে, গত ৩ আগস্ট নেত্রকোনা শহরের কোর্ট স্টেশন পোস্ট অফিস থেকে একটি চিঠি রেজিস্ট্রি করা হয়। বারহাট্টা উপজেলা শিক্ষা অফিসের পক্ষ থেকে চিঠিটি পাঠানো হয়। চিঠির গন্তব্য একই উপজেলার সিংধা ইউনিয়নের আশিয়ল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ৭ আগস্ট চিঠিটি মোহনগঞ্জ প্রধান ডাকঘরে পৌঁছে। কিন্তু সেই চিঠি তিন কিলোমিটার দূরের ওই বিদ্যালয়ে পৌঁছে ৭ সেপ্টেম্বর। এত স্বল্প দূরত্বে চিঠি পৌঁছাতে এক মাস সময় লাগায় পোস্ট অফিস কর্তৃপক্ষের গাফিলতিকে দায়ী করেছেন শিক্ষা কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা।

বারহাট্টা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলামের ভাষ্য, তথ্য অধিকার আইনে তথ্য চাওয়ার বিষয়ে আশিয়ল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে ওই চিঠি দেওয়া হয়েছিল। দেরিতে চিঠি পাওয়ায় তিনি এর জবাব দিতেও দেরি করেছেন। তবে পোস্ট অফিসের এমন গাফিলতি দুঃখজনক।

সংবাদকর্মী কামরুল ইসলাম রতন বলেন, ‘একটি রেজিস্ট্রি করা চিঠি তিন কিলোমিটার দূরে পৌঁছাতে এক মাস লেগেছে। এটা অবিশ্বাস্য ঘটনা। গ্রহণকারী না পেলে চিঠি ফেরত যাবে। কিন্তু এমন হওয়ার কথা নয়। এটি পোস্টমাস্টার ও পিয়নসহ সংশ্লিষ্ট সবার গাফিলতি।’

মোহনগঞ্জ প্রধান ডাকঘরের পোস্টমাস্টার ওবায়দুল হক জিকু জানান, এটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। পিয়ন চিঠি নিয়ে যথাসময়ে গিয়েছিল। কিন্তু ওই শিক্ষককে বিদ্যালয়ে পায়নি। ফোন করলে চিঠিটি পরে অফিস থেকে নেবেন বলে জানান। পরে তিনি চিঠিটি নিতে দেরি করেছেন।

নেত্রকোনা জেলা পোস্ট অফিস পরিদর্শক আবু হেনা মোনাছিফ করিম বলেন, ‘মানুষের সেবা দেওয়ার জন্য আমরা অনেক পরিশ্রম করি। যথাসময়ে চিঠি পৌঁছানোই নিয়ম। গ্রহণ করার কাউকে না পেলে বা কেউ গ্রহণ না করলে চিঠি ফেরত যাবে। তবে এমন ঘটনা আমাদের ডাক বিভাগের জন্য বিব্রতকর। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আরও পড়ুন

×