সংযোগ সড়ক ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন লক্ষাধিক মানুষ

নদীগর্ভে বিলীন টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চৌবাড়িয়া এলাকায় ধলেশ্বরী নদীর ওপর নির্মিত সেতুর পশ্চিম পাশের সংযোগ সড়ক
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৪ | ২১:৫১
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চৌবাড়িয়া এলাকায় সেতুর সংযোগ সড়ক ভেঙে পাঁচটি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। গতকাল বুধবার ভোরে কাতুলী ইউনিয়নের ধলেশ্বরী নদীর ওপর নির্মিত এসডিএস সেতুর পশ্চিম পাশের সংযোগ সড়ক ভেঙে যায়।
জানা গেছে, টাঙ্গাইল-তোরাপগঞ্জ সড়কে ধলেশ্বরী নদীর ওপর এসডিএস সেতু নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। সদর উপজেলার চরাঞ্চলের কাতুলী, হুগড়া, কাকুয়া, মাহমুদনগর ও নাগরপুরের ভাড়রা ইউনিয়নে যাতায়াতের জন্য ২০০৬ সালে সেতুটি নির্মাণ করা হয়।
সেতুটি নির্মাণের পর থেকেই অবৈধ খননের কারণে কয়েকবার বর্ষায় পূর্ব ও পশ্চিম তীরের সংযোগ সড়ক ধসে যায়। যদিও তাৎক্ষণিকভাবে এলজিইডি স্থানীয়দের সহায়তায় বালুর বস্তা ও লোহার পাত দিয়ে মেরামত করে সাময়িক যোগাযোগ স্বাভাবিক রাখে।
এই সড়কের সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক জাকির হোসেন বলেন, সেতুর উভয় পাড় বারবার ধসে যাচ্ছে। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
অটোরিকশাচালক মোতালেব মিয়া বলেন, ‘কয়েক দিন ধরেই একটু একটু করে ভাঙন দেখা দেয়। বুধবার ভোরে যাত্রী নিয়ে এসে দেখলাম ভেঙে গেছে। পরে যাত্রী নামিয়ে দিয়ে ভাঙনের দৃশ্য দেখেছি। দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থা না নিলে আমরা যানবাহন চালাতে পারব না।’
উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রকৌশলী ফজলুর রহমানের ভাষ্য, উপজেলা চেয়ারম্যানের সঙ্গে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন তিনি। দ্রুতই সড়কটি সংস্কার করা হবে। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে।
সদর উপজেলা চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন খান তোফা জানান, সম্প্রতি বৃষ্টি ও প্রবল স্রোতের কারণে সেতুর পাড় ধসে পড়ছে। যেহেতু এটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, তাই দ্রুত ধস বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘এ ছাড়া সেখানে স্থায়ীভাবে একটা কিছু করার ভাবনা রয়েছে। পশ্চিম টাঙ্গাইলের পাঁচটি ইউনিয়নের মানুষের যোগাযোগের মাধ্যম এই সড়ক। আমি অবশ্যই গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি দেখছি।’
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলে ইঞ্জিনিয়ার পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া সড়কটি যেহেতু এলজিইডির, তাই এলজিইডির প্রকৌশলীকে জানানো হয়েছে। দ্রুত সময়ে দুর্ভোগ লাঘবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।