তিন মাস বেতন বন্ধ কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মীদের

ফাইল ছবি
তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২০:৪৮
উন্নয়ন খাত থেকে রাজস্ব খাতে চাকরি স্থানান্তর নিয়ে জটিলতায় সিরাজগঞ্জের তাড়াশে তিন মাস হলো কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত হেলথ কেয়ার প্রোপ্রাইটরদের বেতন-ভাতা বন্ধ আছে। বেতন-ভাতা না পেয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা।
উপজেলায় আটটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ২৯টি কমিউনিটি ক্লিনিকে ২৯ জন হেলথ কেয়ার প্রোপ্রাইটর কর্মরত। তারা চলতি বছরের জুলাই থেকে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না।
উপজেলা কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোপ্রাইটর সমিতির সভাপতি শাহিনুর রহমান বলেন, বিধি অনুযায়ী উন্নয়ন খাত থেকে চাকরি রাজস্ব খাতে যেতে স্বাস্থ্য ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব কমিটির অনুমোদন প্রয়োজন হয়। সংশ্লিষ্ট বিভাগের গাফিলতির কারণে যা গত তিন মাসেও হয়নি। এ কারণে ২৯ জন হেলথ কেয়ার প্রোপ্রাইটর বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না। অনেকেই ছেলেমেয়েদের পড়ার খরচ, পরিবারের অসুস্থ স্বজনদের চিকিৎসাসহ প্রয়োজনীয় ওষুধ কিনতে পারছেন না।
সদর ইউনিয়নের শোলাপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকের হেলথ কেয়ার প্রোপ্রাইটর মো. ফিরোজ জামান বলেন, তারা শুধু এ চাকরির ওপর নির্ভরশীল। বেতন-ভাতা না পেলেও প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের দোরগোড়ায় গিয়ে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিচ্ছেন। বেতন-ভাতা বন্ধ থাকায় পরিবার নিয়ে দুর্বিষহ জীবন যাপন করতে হচ্ছে তাদের।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মনোয়ার হোসেন বলেন, সমস্যাটি সারাদেশের। সরকার সমাধানে কাজ করছে। আশা করি, দ্রুত হেলথ প্রোপ্রাইটররা বেতন-ভাতা বকেয়াসহ পেয়ে যাবেন।