নারীসহ গ্রেপ্তার সাবেক কাউন্সিলরকে আদালত প্রাঙ্গণে গণপিটুনি

প্রতীকী ছবি
সিলেট ব্যুরো
প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ১৯:২৯ | আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ১৯:৩৫
সিলেটের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে গণপিটুনির শিকার হয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ লায়েক। আদালত চত্বর ও বারান্দায় তাকে কয়েকজন কিল-ঘুষি মারেন। এসময় পুলিশ তাদের বাঁধা দেয়।
আজ রোববার দুপুরে পুলিশ তাকে আদালত প্রাঙ্গণে নিয়ে গেলে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, শনিবার ভোররাতে রাজধানী ঢাকার একটি আবাসিক এলাকা থেকে এক নারীসহ লায়েককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর তাকে সড়ক পথে সিলেট নিয়ে আসা হয়। শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর কোতোয়ালি থানা হেফাজতে নেওয়া হয়। আজ দুপুরে তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া বিভিন্ন মামলায় রিমান্ডে নিতে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেয় পুলিশ। নেওয়ার পথে উপস্থিত জনতা তার ওপর আক্রমণ চালায়। এ সময় তাকে মারধর করা হয়। পরে পুলিশ জনতার কবল থেকে তাকে উদ্ধার করে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যায়।
পুলিশ আরও জানায়, রোববার রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয় আদালতে। দুপুরে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়।
তবে আবেদনের শুনানি পরে অনুষ্ঠিত হবে নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক। ওসি জানান, লায়েকের বিরুদ্ধে আদালত ও থানায় ১৩টি মামলা রয়েছে। এগুলো ৫ আগস্টের আগে আন্দোলন চলাকালীন নাশকতা, হত্যাচেষ্টা ও হত্যার অভিযোগে এসব মামলা হয়। এর মধ্যে বন্দরবাজার এলাকার একটি ঘটনায় তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়। তবে শুনানি না হওয়ায় রিমান্ডে নেওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর সিলেট সিটি করপোরশনের আওয়ামীপন্থী কাউন্সিলররা আত্মগোপনে চলে যান। আত্মগোপনে ছিলেন লায়েকও। টানা দুইবার নির্বাচিত হওয়ার পর সরকারি চাল সরিয়ে ফেলা, ভাতার জন্য চাঁদা দাবি করা ও নিজের কার্যালয়ে হামলার নাটক সাজানোসহ নানা অভিযোগে বিতর্কিত ছিলেন লায়েক।
- বিষয় :
- সিলেট সিটি করপোরেশন
- কাউন্সিলর
- আওয়ামী লীগ
- মারধর