ঢাকা বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪

সম্পত্তির ভাগ পেতে লাশ আটকে রাখেন প্রথম স্ত্রী-সন্তানরা

সম্পত্তির ভাগ পেতে লাশ আটকে রাখেন প্রথম স্ত্রী-সন্তানরা

লাশ- প্রতীকী ছবি

নীলফামারী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর ২০২৪ | ২০:৫৩

সম্পত্তির ভাগ পেতে লাশ আটকে রেখেছিলেন প্রথম স্ত্রী ও সন্তানরা। বিষয়টি ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত তারা দাফন করতে দিতে চাচ্ছিলেন না। ফলে লাশ পড়ে ছিল বাড়ির উঠানে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় একদিন পর শুক্রবার রাতে দাফন হয়েছে। নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার রনচন্ডী ইউনিয়নের মিস্ত্রিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

মিস্ত্রিপাড়া গ্রামে আবু মোতালেব (৬৫) গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার সম্পত্তি তিনি দ্বিতীয় স্ত্রীর নামে লিখে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন প্রথম স্ত্রী ও তার সন্তানরা। লাশ আটকে রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য মজনু মিয়া মধু।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আবু মোতালেব তার স্ত্রী ও দুই মেয়েকে রেখে আরেক নারীকে বিয়ে করেন। পরে তিনি প্রথম স্ত্রী ও সন্তানদের সম্পত্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত করেন। এমনকি তাদের খোঁজখবর বা ভরণপোষণ দেননি। একপর্যায়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় প্রথম স্ত্রীর দুই মেয়েকে বিয়ে দেওয়া হয়। এর পরও মেয়েদের খোঁজখবর নেননি তিনি।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আবু মোতালেব মারা যাওয়ার পর তার লাশ দাফনের জন্য বাড়িতে নেওয়া হয়। এ সময় প্রথম স্ত্রীর দুই মেয়ে সেখানে গিয়ে নিজেদের ভাগের সম্পত্তি দাবি করেন। তা বুঝিয়ে না দেওয়ায় লাশ দাফনে বাধা দেন। স্থানীয় বাসিন্দারা বিষয়টি মীমাংসার আশ্বাস দিলে পরদিন শুক্রবার রাত ৮টার দিকে পারিবারিক কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়।

মোতালেবের শ্যালক বেলাল মুন্সি বলেন, দুলাভাই বেঁচে থাকতে তার বোনকে কোনো সম্পত্তি লিখে দেননি। সব সম্পত্তি ছোট স্ত্রীকে লিখে দেন। পরে ভাইয়েরা দায়িত্ব নিয়েছেন, দেনমোহর ও সম্পত্তির অংশ দ্বিতীয় স্ত্রীর কাছ থেকে নিয়ে তার বোন ও মেয়েদের লিখে দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন।

whatsapp follow image

আরও পড়ুন

×