সন্তানের খুশিতে কয়েকদিন গাড়ি চালাবেন না আবিদুর

পহেলা বৈশাখে প্রথম সন্তানকে নিয়ে মা জবা বেগম ও বাবা আবিদুর রহমান। ছবি- ইউসুফ আলী
মুকিত রহমানী, সিলেট
প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫ | ০৫:১৫ | আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫ | ১৮:২১
পহেলা বৈশাখের প্রথম প্রহরে সন্তান জন্ম নেবে- এমন ভাবনা ছিল না আবিদুর রহমান ও জবা বেগম দম্পতির। বছরের শুরুতে সন্তানের মুখ দেখে এ দম্পতি যেন সারা বছরের সুখ পেলেন। পেশায় চালক আবিদুর রহমান এ খুশিতে কয়েকদিন গাড়ি চালাবেন না। তিনি আখালিয়াঘাটের বাসিন্দা।
দেড় বছর আগে পারিবারিকভাবে আবিদুর ও জবার বিয়ে হয়। নিজেরা হাইস্কুলের গণ্ডি পেরুতে না পারলেও প্রথম সন্তানকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন। এ ক্ষেত্রে সন্তানের ইচ্ছাকে গুরুত্ব দেবেন বলে তারা জানিয়েছেন।
জবা বেগম গর্ভবতী হওয়ার পর প্রায়ই ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মডেল ক্লিনিক থেকে সেবা নিতেন। সময় ঘনিয়ে এলে ডাক্তারের পরামর্শে চৈত্রের খরতাপের ভরদুপুরে হাসপাতালে ভর্তি করেন আবিদুর।
প্রায় ১৮ ঘণ্টা পর নতুন বছরের শুরুতে ভোর ৬টায় সন্তানের মুখ দেখেন এ দম্পতি। প্রথমে সন্তানকে কোলে নিয়ে আদর করেন বাবা আবিদুর। পরে নানি বিলকিস বেগম। হাসপাতালের পার্শ্ববর্তী মধুশহীদ এলাকা শিশুর নানার বাড়ি হওয়ায় মেয়ের সঙ্গে ছিলেন তিনি। দাদি অসুস্থ থাকায় হাসপাতালে যেতে পারেননি। ওইদিন বিকেলে বাসায় যাওয়ার পর নাতনিকে আদর করেন তিনি।
পহেলা বৈশাখে সরকারি ছুটি থাকায় ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিবেশ ছিল ভিন্ন রকম। বিশেষ করে লেভার ওয়ার্ডে ওইদিন ডেলিভারি করাতে গিয়ে বেগ পেতে হয় আবিদ-জবা দম্পতিকে। তবে সন্তানের মুখ দেখে ভুলে যান সব কষ্ট।
জবা বেগম বলেন, আল্লাহর রহমতে সন্তান সহিসালামত আছে। লেভার পেইন হয়েছে দীর্ঘক্ষণ।
অবিদুর রহমান সমকালকে জানান, নববর্ষের শুরুতে তার শিশু জন্ম নেওয়ায় তিনি অনেক খুশি। ভবিষ্যতে মেয়েকে লেখাপড়া করাবেন। মেয়ের ইচ্ছা অনুযায়ী পছন্দের বিষয়ে পড়াবেন। সন্তানের খুশিতে তিনি কয়েকদিন গাড়ি চালাবেন না। সন্তানের পাশে থাকবেন।
- বিষয় :
- পহেলা বৈশাখ
- সন্তান প্রসব
- সিলেট