যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা, হামাস নেতারা মিসরে, ব্লিংকেন সৌদিতে

গাজায় বিগত প্রায় সাত মাস ধরে চলমান যুদ্ধে বিরতি টানতে মধ্যস্থতার চেষ্টা করে চলেছে কয়েকটি দেশ। সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩:৪৭ | আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩:৪৯
গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনায় বসতে সোমবার আবারও মিসরের কায়রোতে যাচ্ছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের প্রতিনিধি দল। জিম্মি চুক্তি এবং গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইসরায়েলের সর্বশেষ প্রস্তাবের উত্তর দেবে এই দলটি, জানিয়েছে রয়টার্স।
গাজায় বিগত প্রায় সাত মাস ধরে চলমান যুদ্ধে বিরতি টানতে মধ্যস্থতার চেষ্টা করে চলেছে মিসর, কাতার এবং যুক্তরাষ্ট্র। যুদ্ধবিরতি, হামাসের কব্জায় থাকা জিম্মিদের মুক্তি, এবং গাজায় ত্রাণ পৌঁছানোর জন্য বৈশ্বিক চাপ সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত হামাস ও ইসরায়েলের একটি কার্যকরী যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে আসতে পারেনি। বারবারই তাদের আলোচনা ভেস্তে গেছে বিভিন্ন কারণে। এই আলোচনায় হামাস স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছিল, যা মেনে নিতে অস্বীকার করে ইসরায়েল।
তবে এবার হয়তো এই আলোচনা আলোর মুখ দেখতে পারে, কারণ হামাস ও ইসরায়েল উভয় পক্ষ থেকেই ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে।
রোববার হামাস জানিয়েছে, ইসরায়েলের সর্বশেষ প্রস্তাব নিয়ে তাদের বড় কোনো আপত্তি নেই। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংবাদ সংস্থা এএফপিকে এক হামাস কর্মকর্তা জানান, ইসরায়েলের পক্ষ থেকে নতুন কোনো বাধা না আসলে পরিবেশ অনুকূল মনে হচ্ছে।
এদিকে ইসরায়েলের দুই কর্মকর্তার বরাত দিয়ে অ্যাক্সিওস সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, ইসরায়েলের ওই প্রস্তাবে গাজায় শান্তি ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে আলোচনা করা হবে, তবে অবশ্যই সব জিম্মির মুক্তির পর। গাজায় চলমান যুদ্ধ শেষ করার ব্যাপারে এই প্রথম ইঙ্গিত দিল ইসরায়েল।
এছাড়া যুদ্ধবিরতির আলোচনার সাথে সম্পৃক্ত এক হামাস সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে, ইসরায়েলের নতুন এই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করতে ইতিবাচক হামাস, এছাড়া স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, বাস্তচ্যুত মানুষের পুনর্বাসন, জিম্মি মুক্তি এবং গাজার মুক্তি নিয়ে ইসরায়েলের সাথে একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে চায় তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন আজ সৌদি আরবের রিয়াদে পৌঁছেছেন। যুদ্ধবিরতি এবং গাজায় ত্রাণ প্রবেশ নিশ্চিত করতে মধ্যপ্রাচ্যে এই সফর শুরু করেছেন তিনি।
গত বছর ৭ অক্টোবর জঙ্গি সংগঠন হামাস ইসরায়েলে সন্ত্রাসী হামলা চালায়। তাদের হামলায় ১,১৩৯ জন মারা যান। জবাবে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে। হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তখন থেকে মারা যান অন্তত ৩৪,৪৫৪ মানুষ মারা যান, আহত হন অন্তত ৭৭,৫৭৫ জন। অভিযানের ফলে খাবার, পানি ও ওষুধের অভাবে গাজায় মানবিক বিপর্যয় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলো।
- বিষয় :
- যুদ্ধবিরতি
- আলোচনা
- হামাস
- গাজা
- ইসরায়েল
- কায়রো
- মধ্যপ্রাচ্য
- মিসর