ঢাকা সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

শেষ সময়ে ভাই-বোনসহ কয়েক কর্মকর্তাকে আগাম ক্ষমা করলেন বাইডেন

শেষ সময়ে ভাই-বোনসহ কয়েক কর্মকর্তাকে আগাম ক্ষমা করলেন বাইডেন

হোয়াইট হাউসে জো বাইডেনের সঙ্গে তার প্রধান চিকিৎসা উপদেষ্টা ড. অ্যান্টনি (মাঝে)। (ছবি- ২৫ অক্টোবর, ২০২২)

সমকাল ডেস্ক

প্রকাশ: ২১ জানুয়ারি ২০২৫ | ০১:৪১ | আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২৫ | ০২:৪৭

হোয়াইট হাউস থেকে বিদায় নেওয়ার আগ মুহূর্তে পরিবারের কয়েকজন সদস্যসহ বেশ কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তাকে আগাম ক্ষমা করে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ভাই জেমস, ফ্রান্সিস ও ফ্রাঙ্ক বাইডেন এবং বোন ভ্যালেরি বাইডেন ওয়েনসসহ পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্যকে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা প্রয়োগ করে ক্ষমা করে দিয়েছেন।

শুধু তাই নয়, ভাই-বোন ছাড়াও বাইডেন তার ভগ্নিপতি সারা জোন্স বাইডেন এবং তার শ্যালক জন ওয়েন্সের জন্যও ক্ষমা জারি করেন। অবশ্য বিদায়ী প্রেসিডেন্ট এর আগেও তার ছেলে হান্টার বাইডেনের জন্য ক্ষমা জারি করেছিলেন যিনি দুটি ফৌজদারি মামলায় সাজা পেয়েছিলেন। 

এ প্রসঙ্গে জো বাইডেন বলেন, ক্ষমার উদ্দেশ্য ছিল তার পরিবারকে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আক্রমণ থেকে রক্ষা করা। খবর-বিবিসি

প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ নেওয়ার আগে তিনি আরও কয়েকজন কর্মকর্তাকে আগাম ক্ষমা করেন যাদের মধ্যে রয়েছে হোয়াইট হাউসের প্রধান চিকিৎসা উপদেষ্টা ও দেশটির ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজের (এনআইএআইডি) পরিচালক অ্যান্থনি ফাউচি এবং জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের সাবেক চেয়ারম্যান মার্ক মাইলি- যিনি গত বছর ট্রাম্পকে ‘ফ্যাসিবাদী’ হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন। তবে বাইডেনের নজিরবিহীন এই ক্ষমার কড়া সমালোচনা করেছেন নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

আগাম ক্ষমা পাওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন কংগ্রেশনাল সিলেক্ট কমিটির আইনপ্রণেতারাও। ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারির যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানীর ক্যাপিটেল হিলে দাঙ্গা এবং ওই দিনের ঘটনায় ট্রাম্পের ভুমিকা নিয়ে তদন্ত করেছিলেন।

বিদায়ী রাষ্ট্রপতি বাইডেন বলেছেন, এই সরকারি কর্মচারীদের অক্লান্ত প্ররিশ্রমের কারণে তাদের কাছে আমাদের জাতি কৃতজ্ঞ।

এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, যেসব কর্মকর্তাদের ক্ষমা করা হয়েছে তারা হাউস সিলেক্ট কমিটিতে সাক্ষ্য দিয়েছেন এমন ব্যক্তি। একই সাথে সদস্য ও কর্মীরাও রয়েছেন এই ক্ষমার আওতায়।

কোভিড মহামারির সময়ে অ্যান্থনি ফাউচি যুক্তরাষ্ট্রে বেশ তৎপর ছিলেন। তবে ট্রাম্প ও তার রাজনৈতিক মিত্ররা তার সমালোচনায় মুখর ছিলেন। মাইলি ট্রাম্পের একজন কট্টর সমালোচক ছিলেন। তিনি ট্রাম্পকে ‘আপাদমস্তক ফ্যাসিবাদী’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

হোয়াইট হাউস বিবৃতিতে বলেছে, এই সরকারি কর্মচারীরা আমাদের জাতিকে সম্মান ও মর্যাদার সাথে সেবা করেছেন। তাদের অন্যায় ও রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিচারের লক্ষ্যবস্তু হওয়া কাম্য নয়।

ট্রাম্পের অভিষেকের জন্য ক্যাপিটল রোটুন্ডায় আসার আগে ওই বিবৃতিতে বাইডেন বলেছেন, ‘আমার পরিবার সবসময় আক্রমণ ও হুমকির শিকার হয়েছে। শুধুমাত্র আমাকে আঘাত করার ইচ্ছা থেকে এমন করা হয়েছিল। দুর্ভাগ্যবশত আমার বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই যে, এই আক্রমণগুলো শেষ হবে।’

এর আগে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা এবং বাংলাদেশ সময় ২০ জানুয়ারি সোমবার রাত ১১টায় ক্ষমতা হস্তান্তরের আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন ৭৯ বছর বয়সী ট্রাম্প।

উল্লেখ্য, যারা দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন এমন ব্যক্তিদের প্রেসিডেন্ট ক্ষমা করে থাকেন। সম্ভাব্য বিচারের মুখোমুখি ব্যক্তিদের প্রেসিডেন্টের ক্ষমার ক্ষমতা থাকলেও বাউডেন যেভাবে আগাম ক্ষমা করলেন তা দেশটিতে নজিরবিহীন। 
 

আরও পড়ুন

×