সাক্ষাৎকারে ড. মুশতাক হুসাইন খান
নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের জন্য পরিবর্তনের পক্ষে সংগঠিত থাকতে হবে

ড. মুশতাক হুসাইন খান
সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারুক ওয়াসিফ
প্রকাশ: ১৭ আগস্ট ২০২৪ | ০০:২৩ | আপডেট: ১৯ আগস্ট ২০২৪ | ১২:১৫
ড. মুশতাক হুসাইন খান ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের স্কুল অব এশিয়ান অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজের (সোয়াস) অর্থনীতির অধ্যাপক। দীর্ঘ দিন ধরে তিনি দরিদ্র দেশগুলোর অর্থনীতি নিয়ে গবেষণা করছেন। তিনিই প্রথম ‘রাজনৈতিক বন্দোবস্ত’ কথাটা চালু করেছিলেন। পেশাজীবনে তিনি ক্যামব্রিজের সিডনি সাসেক্স কলেজ, বিশ্বব্যাংক, জাতিসংঘ, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, বিবিসি বাংলায় কাজ করেছেন। পড়াশোনা করেছেন অক্সফোর্ডের কর্পাস ক্রিস্টি কলেজ ও ক্যামব্রিজের কিংস কলেজে। পিপিই বা দর্শন, রাজনীতি ও অর্থনীতিতে উচ্চতর ডিগ্রি লাভ করেন। প্রাতিষ্ঠানিক অর্থনীতি, সুশাসন, শিল্প, প্রযুক্তি ইত্যাদি বিষয়ে তাঁর রয়েছে একাধিক প্রবন্ধ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সমকালের পরিকল্পনা সম্পাদক ফারুক ওয়াসিফ।
ফারুক ওয়াসিফ: বাংলাদেশে শুধু ক্ষমতার পালাবদল নয়, পুরোনো ক্ষমতা ভেঙে নতুন ক্ষমতার বিন্যাস চলছে। এ মুহূর্তে দেশের সামনে প্রধান উদ্বেগগুলো কী?
মুশতাক খান: আওয়ামী সরকার ১৫ বছর না হলেও গত ১০ বছর যেভাবে ক্ষমতায় ছিল, সেটা একটা ক্ল্যাসিক স্বৈরাচারী পদ্ধতি। তাদের ক্ষমতার মূল স্তম্ভ ছিল দুটি। এক. তারা শুধু বিরোধী দল না, বিরোধী সব রকমের সংগঠন, এমনকি তা ব্যবসা হোক, ব্য়াংক হোক বা প্রতিষ্ঠান হোক, সবকিছুকে তারা সচেতন ও পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করেছে। কোনো সংগঠিত শক্তিই তাদের বিরুদ্ধে সেভাবে দাঁড়াতে পারেনি। এটা তারা করতে পেরেছে, কারণ তাদের হাতে বিপুল অর্থ ও বিদেশি সমর্থন ছিল। যারা সংগঠিত না, তাদের ওপর ভয় চাপিয়ে দিয়েছে, এটা হলো দ্বিতীয় স্তম্ভ। কিছু করলেই গুম হয়ে যাবে, গায়েব হয়ে যাবে এ রকম। এটাকে আমি নাজুক কর্তৃত্ববাদ বলি। এ ধরনের কর্তৃত্ববাদকে সংগঠিত শক্তি দিয়ে উৎখাত করা কঠিন। কোনো সংগঠিত শক্তি দাঁড়ালেই তাদের তারা মারধর করে সরিয়ে দিয়েছে বা তাদের নেতৃত্বকে সরিয়ে দিয়েছে। বিরোধীদের অর্থনৈতিক ভিত্তি নষ্ট করে দিয়েছে। এসব করার পর আওয়ামী লীগের বিশ্বাস ছিল, যে কোনো অসংগঠিত শক্তিও সামনে আসবে না। কারণ তারা ভয় পায়। ৫ আগস্টসহ ও পুরো জুলাই মাসের অভ্যুত্থানের সফলতার চরিত্রটা হলো, এটি সংগঠিত শক্তি ছিল না। সরকার ধরতে পারেনি এরা কোত্থেকে আসছে বা কাকে ধরবে। আবু সাঈদ ও অন্যান্য ছাত্র হত্যাকাণ্ডের পরে জাতি হিসেবে গর্বের বিষয় যে সাধারণ ছাত্রদের মধ্যে আর ভয় ছিল না। যে দুটো স্তম্ভের ওপর সরকার দাঁড়িয়ে ছিল, সেই দুটি স্তম্ভই তখন ভেঙে পড়ল।
সমকাল: অনির্বাচিত এবং একচেটিয়া এই ক্ষমতাকে আপনি নাজুক কর্তৃত্ববাদ বলছেন কেন?
মুশতাক খান: হাতেগোনা কয়েকটি ব্য়বসায়িক গোষ্ঠীকে সঙ্গে নিয়ে, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ দিয়ে এই কেন্দ্রীভূত ক্ষমতা চলছিল। এটা নাজুক, কারণ এ রকম ক্ষমতা যখন ভেঙে পড়ে তখন তাদের রক্ষা করার কেউ থাকে না এবং আমরা সেটাই দেখেছি।
সমকাল: অনেকে বলছেন, আমাদের এখন নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তে যেতে হবে। উদাহরণ হিসেবে তিন জোটের রূপরেখার কথাও আসছে। কেউ কেউ বিপ্লবী সরকার এবং সংবিধান সভা ডাকার কথাও বলছেন। নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বলতে আমরা কী বলতে চাচ্ছি এবং কী করা সম্ভব?
মুশতাক খান: রাজনৈতিক বন্দোবস্ত টার্ম বা কথাটার আমিই প্রবক্তা। আশির দশক থেকে এটা আমি বলছি এবং কাজ করছি। বিষয়টা না বুঝে অনেকেই ভুল ব্যাখ্যা দেন। একটা সমাজে ক্ষমতার যে বিন্যাস এবং উৎপাদনশীলতার যে বিন্যাস, সেখানে কোন নিয়মগুলো বাস্তবে কার্যকর করা সম্ভব আর কোনগুলো সম্ভব না; সেটা বুঝতে পারাই হলো রাজনৈতিক বন্দোবস্ত। ধরেন, ভালো ভালো আইন করলাম, কিন্তু প্রতিষ্ঠানগুলো সেই আইন বা নিয়ম মানতে চায় না। তাহলে তো আইন করে লাভ নেই। তাই ক্ষমতার বিন্যাস বা রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বুঝতে হচ্ছে। অনেকে মনে করেন, রাজনৈতিক বন্দোবস্ত হলো একটা চুক্তি। সদিচ্ছা থাকলেই বা তিন-চারটা দল মিলে একটা চুক্তিতে এলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু আমার ক্ষমতা আপনার থেকে দশ গুণ বেশি হলে, চুক্তি করে ঘর থেকে বের হয়েই আমি তা ভেঙে দেব। আমি আমার ক্ষমতা অনুযায়ী আপনার কাছ থেকে আমার যা দরকার তা নিয়ে নেব। রাজনৈতিক বন্দোবস্ত অত্যন্ত বাস্তববাদী একটা ব্যাপার।
আওয়ামী লীগের যে কেন্দ্রীভূত ক্ষমতা ছিল তা ভেঙে গেছে, কারণ নতুন একটা শক্তি রাস্তায় এসে গেছে। এখন এই চুরমার থেকে কী বেরিয়ে আসবে? আমরা যদি কিছুই না করি এবং রাস্তার শক্তি যদি ছয় মাস পরে বাড়ি ফিরে যায়, তাহলে আগের শক্তি ফিরে আসবে। হয়তো একদম আগের অবস্থায় আমরা ফিরব না, কিন্তু কাছাকাছি জায়গায় যাব। এ ধরনের অভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্থায়ীভাবে ক্ষমতার বিন্যাস বদলায় না। ক্ষমতার বিন্যাস বদলায় তখন, যখন এমন কিছু নতুন সংস্থা বা সংগঠন তৈরি হবে, যারা নতুন নিয়মগুলো কার্যকর করবে। এখানে চুক্তি বা সমঝোতার জন্য সময় নষ্ট করার দরকার নেই।
সমকাল: নতুন ছাত্রশক্তির সামনে রাজনৈতিক শক্তি হয়ে ওঠার চ্যালেঞ্জগুলো কী।
মুশতাক খান: যারা সরকার উৎখাত করল, তাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হলো, তাদের চরিত্রটাই অসংগঠিত। তারা সিস্টেমেটিকভাবে অর্থ সংগ্রহ করে, কর্মী ও রিসোর্স রিপ্রডাকশন করে তাদের সংগঠন গড়ে তোলেনি। যতদিন এই শক্তি রাস্তায় আছে, যতদিন তাদের এই আবেগ ও আত্মত্যাগী আন্দোলন চলবে, ততদিন কিন্তু প্রচলিত আইন দিয়ে তাদের আটকাতে পারবেন না। একই সঙ্গে আমরা পেয়েছি ড. ইউনূসের নেতৃত্ব। তাঁর সঙ্গে অসাধারণ কিছু ব্যক্তিত্বও আছেন। তাদের সামনে সংস্কারের একটা বৈপ্লবিক সুযোগ হাজির হয়েছে। তারা নতুন ক্ষমতার বিন্যাসকে সমাজে প্রোথিত করে দিতে পারবেন। কিন্তু এটা করা মোটেই সহজ না। এটা যদি তারা বেশি মাত্রায় করতে চান তো ব্যর্থ হবেন। আবার যদি জরুরি কিছু সংস্কারের কাজে এগিয়ে না আসেন, তবে এই দেশ, এই প্রজন্ম একটা বড় সুযোগ হারাবে। অর্থাৎ এমন কিছু পরিবর্তন আনতে হবে, যা টেকসই এবং যাকে পুনরুৎপাদন করা যায়। এ মুহূর্তে রাস্তায় যে বিশাল ক্ষমতা, সেটার সঙ্গে আমরা সবাই আছি। এখন পরাজিত শক্তি সহজে উঠে আসতে পারবে না। এ মুহূর্তে অসংগঠিত শক্তিকে সংগঠিত করাই হলো আসল চ্যালেঞ্জ।
সমকাল: বৃহৎ ব্যবসায়িক গোষ্ঠীগুলো ছিল পুরোনো ক্ষমতার পৃষ্ঠপোষক, নতুন শক্তিকে কারা সমর্থন করতে এগিয়ে আসবে?
মুশতাক খান: নতুন ব্যবসায়িক শক্তিকেই এদের সমর্থনে এগিয়ে আসতে হবে। অন্তত গত ১০ বছরে কিছু ব্যবসায়িক শক্তি দেখেছি, যারা আমদানি-রপ্তানি সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেছে। অথচ আমাদের দেশের উন্নতি কিন্তু মধ্যম শ্রেণি থেকে হয়েছে। যখন গার্মেন্টস সেক্টরের উত্থান হলো, তখন ৪-৫ হাজার গার্মেন্টস ছিল, সবই সমপর্যায়ের। আমাদের এ রকম নতুন কিছু সেক্টর তৈরি করতে হবে, যেখানে হাজার হাজার নতুন ব্যবসায়িক লোক আসতে পারবে। এই ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানই পরিবর্তনের ভিত হবে। এই সংস্কারের সময়টাতে আমরা এমন কিছু অর্থনৈতিক নিয়মকানুন আনব, উঠতি ব্যবসায়িক শ্রেণি যেটাকে সমর্থন ও কার্যকর করবে। আর আমরা যদি খুবই আশাবাদী হয়ে যাই, নতুন সংবিধান বা আইন প্রণয়ন করি, তখন দেখতে হবে এসবকে সমর্থন করার মতো প্রতিষ্ঠান আছে কিনা। পরিবর্তনকে সমর্থন করার প্রতিষ্ঠান যদি না থাকে, তাহলে নতুন আইন কার্যকর হবে না। আমরা বলে দিলাম, নির্বাচন কমিশন বা দুদক বা কেন্দ্রীয় ব্যাংককে স্বাধীন হতে হবে। অন্য দেশের যেখানে এসব প্রতিষ্ঠান স্বতন্ত্র রয়েছে, সেখানে তা শুধু আইনের মাধ্যমে সম্ভব হয়নি। এটা একটা প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে। আমাদের দেশে কয়েকটি গ্রুপ বাজারে প্রতিযোগিতা করছে, কিন্তু একটা বড় গ্রুপ সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছে। এখানে ছোট গ্রুপগুলোর প্রতিবাদ করার শক্তি থাকতে হবে। তাই আমাদের সংস্কার এমনভাবে করতে হবে, যেখানে নতুন আইন কার্যকর করার প্রতিষ্ঠানও গড়ে উঠবে। তাই নতুন ধরনের ব্যবসা, রাজনৈতিক দল এবং ছাত্র সংগঠনও তৈরি করতে হবে। যে সংগঠনগুলো নতুন নিয়ম বাস্তবায়ন করবে। এই দুটো জিনিস একসঙ্গে করতে হবে। শুধু নিয়ম বদলালেই হবে না।
সমকাল: আমাদের পুরোনো রাজনৈতিক শক্তিগুলো ছত্রভঙ্গ হয়ে গেছে, কিন্তু তাদের মাধ্যমে যে ব্যবসায়িক শক্তি সুবিধা ভোগ করেছে, তারা তো অক্ষত আছে। তাদের কাছে টাকা আছে, সংগঠন আছে এবং তাদের অবস্থানও অস্পষ্ট এখনও।
মুশতাক খান: পুরোনো ব্যবসায়িক শক্তিগুলো কোনো দিনও সংস্কার প্রক্রিয়ার সহযোগী হবে না। তাদের ব্যবসায়িক মডেলটাই হলো একচেটিয়া ব্যবসা করে টাকা বানানো এবং সেটা তারা করেছেন ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে ফেরত না দিয়ে। এই প্রবণতা থেকে কিছু লোক অনেক টাকা বানিয়েছেন। তা দেখে মনে হতে পারে, বাংলাদেশ অনেক বড় উন্নতি করে ফেলেছে। কিন্তু মধ্যম ও নিম্ন শ্রেণির দিকে তাকালে দেখা যাবে, সেখানটাতে তেমন অগ্রগতি হয়নি। কারণ তারা কখনও বাজারে ঢুকতে পারেনি। প্রতিটা জায়গায় সিন্ডিকেট দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। সংস্কার মানে তাদের নিয়ন্ত্রণগুলো ভাঙা। এর দুটো দিক আছে। একটা হচ্ছে নিয়ম, আরেকটা সংগঠন। নিয়ম আমরা তৈরি করতে পারি। কিন্তু সেই নিয়ম বা আইনের দ্বারা যারা লাভবান হবে, তারা মাঠে আছে কিনা, সেটা দেখতে হবে। তাই আইন করার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানগুলোকে সাপোর্ট দিতে হবে। ছোট ব্যবসায়ীর সংখ্যা সমাজে যত বাড়বে ততই আইনের শাসন বাড়বে। তারাই আইনগুলো কার্যকর করবে। আমাদের এ সেক্টরগুলো দুর্বল। আবার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কোনো ছাত্র সংগঠনের অর্থায়ন যদি বড় কোনো সংগঠন করে, তাদের অর্থ ও অস্ত্র দেয়, তবে তারাই প্রভাব বিস্তার করবে। এই ধারা বদলাতে নতুন ছাত্র সংগঠন গড়তে হবে। সেই সংগঠনগুলোই অনিয়মের বিরুদ্ধে পাহারা দেবে। যেহেতু ছাত্ররাই আজকের পরিবর্তন এনেছে, তাই ছাত্র সংগঠনের রীতিই বদলাতে হবে যে তারা কোন কাজগুলো করতে পারবে আর কোন কাজগুলো করতে পারবে না। এটাই সংস্কারের মোক্ষম সময়। কারণ ছাত্ররাই এই গণঅভ্যুত্থানের নায়ক।
সমকাল: অর্থনীতি সবল করতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কী কী কাজ করতে হবে?
মুশতাক খান: আওয়ামী লীগ সরকার কিছু চুক্তি করেছে, বিশেষ করে পাওয়ার সেক্টরসহ কিছু খাতে। চুক্তিগুলো করা হয়েছে জনগণের স্বার্থের বিরুদ্ধে। যে দামে হওয়া উচিত ছিল, তার চেয়ে অনেক বেশি দামে হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী যদি আমরা টাকা দিতে থাকি, তাহলে বিগত সরকারের বন্ধু ব্যবসায়ীদের স্বার্থে জনগণের ওপর আরও বোঝা চাপিয়ে দেবে। এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য না। এগুলো যারা করেছে তারা অনির্বাচিত। অর্থাৎ অনেক দিক থেকেই এসব চুক্তি চ্যালেঞ্জযোগ্য। তাই চুক্তিগুলো প্রকাশ করা দরকার, মূল্যায়ন করা দরকার, সংশোধন করা দরকার বা বাতিল করা দরকার।
সমকাল: আওয়ামী লীগ সরকারের দ্বারা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত খাতগুলোর অন্যতম ব্যাংকিং খাত। এ খাতের পুনর্গঠন কোথা থেকে শুরু করা যায়?
মুশতাক খান: ব্যাংকিং খাতে রক্তক্ষরণের মতো টাকা বাইরে চলে যাচ্ছিল, তা মনে হয় থামানো গেছে। এখন দেখতে হবে কতটা ধস নেমেছে। যেসব ব্যক্তি বড় বড় অঙ্কের টাকা নিয়ে গেছেন, তারা যদি টাকা ফেরত না দেন, তাদের সম্পত্তি বিক্রি করে বা আন্তর্জাতিক অ্যাসেট রিকভারি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যাংকগুলোকে বাঁচাতে হবে। এটা আমাদের সুবর্ণ সুযোগ। চুরি করে নিয়ে যাওয়া টাকা জাতীয় কোষাগারে ফেরত আনা সম্ভব এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদের মধ্যেই এসব করতে হবে। কারণ পরবর্তী সরকার এগুলো না-ও করতে পারে।
সমকাল: আপনাকে ধন্যবাদ।
মুশতাক খান: ধন্যবাদ।
- বিষয় :
- সাক্ষাৎকার
- ফারুক ওয়াসিফ