মায়াবী গানের সুর

.
সমকাল ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৫ | ০০:২০
বৃষ্টিঝরা সন্ধ্যার আঁধারে শহরের পুরোনো পাড়ায় ভাঙা বাড়ির সামনে নীল। শ্যাওলাধরা দেয়াল, ভাঙা জানালা, তালাবদ্ধ দরজা। অথচ ভেতর থেকে ভেসে আসছে মায়াবী গানের সুর, যেন সময়ের ওপার থেকে কেউ ডাকে। এমন জায়গায় গান? কৌতূহলী নীল তালা ভাঙতে গেল, কিন্তু তালা অটুট। হঠাৎ বৃষ্টির শব্দ ছাপিয়ে ‘ক্লিক’– দরজা নিজেই খুলে গেল, যেন অদৃশ্য হাতের শারা। ভয়মিশ্রিত উত্তেজনায় নীল ঢুকল। অন্ধকার ঘরে কোণে প্রাচীন গ্রামোফোন সুর ছড়াচ্ছে, কিন্তু গায়ক নেই। নীল খুঁজতে লাগল, পায়ের তলায় মেঝে কাঁপছে যেন। হঠাৎ কুয়াশা উঠে ছায়ামূর্তি ফুটল– মেয়েটির চোখে বিষাদ, ফিকে পোশাক বাতাসে দোলে। তার মুখে নীলেরই প্রতিচ্ছবি!
‘কে তুমি?’ নীলের কণ্ঠ কাঁপে।
আমি নীলা, ‘তার ফিসফিস বৃষ্টির মতো। এ বাড়ির প্রাচীন বাসিন্দা, তোমার অতীত। আমার গান অসমাপ্ত, আমার আত্মা বন্দি। মুক্তি দেবে?’
কীভাবে? ‘নীলের হৃৎপিণ্ড থমকে যায়।
উঠানে লুকানো আমার শেষ পঙ্ক্তি গাও।’ নীলা মিলিয়ে গেল।
বৃষ্টিভেজা উঠানে নীল পাথরের ফলক খুঁজে পেল, খোদিত পঙ্ক্তি– তার নিজের হাতের লেখা। সে গাইল, সুরে জেগে উঠল হারানো স্মৃতি। নীলা হাসল, কুয়াশায় মিশে গেল। বৃষ্টি থামল, গান শেষ হলো। নীল বুঝল, নীলা তারই ভুলে যাওয়া অতীত, এ বাড়ি তার নিজের হৃদয়। দরজা বন্ধ হলো, কিন্তু নীলের মনে রইল মুক্তির আলো। v
সুহৃদ ফরিদপুর
- বিষয় :
- গানের স্বত্ব