জুনাইদ আহমেদ পলক

নতুন মামলায় সালমান এফ রহমান, আনিসুল হক, ডা. দীপু মনি, চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ ১৬ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

আপনি আইসিটি মন্ত্রী থাকাকালে কেন ডিজিটাল কোর্ট করে দেননি? না হলে আদালতে আসতে হতো না। কারাগারে বসে হাজিরা দিতেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সারাদেশে ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছিল বলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং সাবেক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

কারাগারে থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী-উপমন্ত্রী ও হাইপ্রোফাইল নেতাদের মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। নতুন করে রিমান্ড শুনানিসহ নতুন মামলায় আদালতে তোলা হয় তাদের।

জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া সাবেক নয় মন্ত্রীসহ ১৩ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ সোমবার তাদের আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে আদালত তাদেরকে ফের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার রাতে তাঁকে হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগে নেওয়া হয়। তিনি যাত্রাবাড়ী থানার একটি হত্যা মামলায় সাত দিনের রিমান্ডে রয়েছেন।

সিংড়ার বিভিন্ন বিরোধী রাজনৈতিক দলকে নিজের পকেটে রেখেছিলেন পলক। বিএনপির স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু নেতাকে টাকা দিয়ে পুষতেন।

নির্বাচন কমিশনের ডেটা সেন্টারে সংরক্ষিত বাংলাদেশি ১১ কোটির বেশি নাগরিকের জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) ৪৬ ধরনের ব্যক্তিগত তথ্য বিক্রি হয়েছে।

জুলাই-আগস্টে যখন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলছিল, তখন সমালোচনার পুরোভাগে ছিলেন আওয়ামী লীগ সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।