পুষ্টিগুণ

আজকাল সারাবছরই বিট পাওয়া যায়। এটি খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল, কমবেশি সবারই এটা জানা।  বিটে পর্যাপ্ত পরিমাণে খনিজ, প্রোটিন, ভিটামিন, ফাইবার, ফোলেট, ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়াম, আয়রন এবং ভিটামিন সি-সহ প্রয়োজনীয় নানা পুষ্টিগুণ রয়েছে। এটি স্বাস্থ্যের পাশাপাশি ত্বক এবং চুলের জন্যেও উপকারী।

সারাদিনের কাজের চাপ,ব্যস্ততার কারণে শরীর ক্লান্ত লাগাটাই স্বাভাবিক। নিজেকে সুস্থ রাখতে তাই ব্যায়ামের পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসের দিকে নজর দেওয়া জরুরি। সেক্ষেত্রে খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন কিছু খাবার। এসব খাবার শরীরের ক্লান্তি দূর করে শক্তি জোগায়।

অনেকের কাছেই কাঁঠাল খুব পছন্দের একটি ফল। তবে তা পাকা অবস্থায়। রসালো ও মিষ্টি স্বাদের এ ফলটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। তবে কাঁচা কাঁঠালেরও রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ।

ফল শরীরের জন্য কতটা উপকারী এটা কমবেশি সবারই জানা। তবে ফল খাওয়ার সঠিক সময় কোনটি, তা নিয়ে নানা বিতর্ক রয়েছে। দিনের যেকোন সময়ই ফল খাওয়া যায়। তবে বেশ কিছু ফল রয়েছে যেগুলি রাত বা সন্ধ্যার সময় খাওয়া উচিত নয়।

পেয়ারা শরীরে জন্য খুবই উপকারী একটি ফল। বেশিরভাগ পেয়ারার বাইরের অংশ সবুজ হলেও ভিতরটি সাদা রঙের। আবার কিছু কিছু পেয়ারা আছে যেগুলোর ভিতরটা গোলাপি।

রান্নাঘরে থাকা লবঙ্গ খাবারের স্বাদ বাড়ায়। এর পাশাপাশি স্বাস্থ্যের অনেক উপকার করে। জেনে অবাক হবেন, লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে, এমনকি ক্যান্সারের মতো মরণঘাতী রোগ থেকে বেঁচে থাকা যায়। শুধু তাই নয়, জ্বর, বদহজম, মাথাব্যথা, হাঁচি ও কাশির মতো রোগেও এটি বিশেষ উপকারী। এত উপকারী এ মসলা অনেকেই চিবিয়ে খান না। লবঙ্গের উপকারী দিকগুলোকে পাত্তা দেন না। এ কারণে অজান্তেই ভুল করেন; অনেক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভোগেন। 

ইউনিসেফের তথ্যমতে, অপুষ্টির কারণে বাংলাদেশে ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের ২৮ শতাংশ খর্বকায় এবং ১০ শতাংশ কৃশকায়তায় ভোগে। যেসব শিশু অপুষ্টিতে ভোগে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হয় এবং তাদের অন্যান্য রোগ সংক্রমণের ঝুঁকিও বেশি হয়ে থাকে।

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, চালের পুষ্টিমান ঠিক রাখতে পলিশ করা চকচকে চাল বাজারজাত বন্ধে আইন করা হয়েছে। খুব শিগগিরই এর বাস্তবায়ন করা হবে। পলিশ করা চকচকে চাল আর বাজারে থাকবে না। 

পুষ্টিবান সমৃদ্ধ জাতি গঠনে সঠিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন বক্তারা। এ বিষয়টি সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার ওপর তাগিদ দেন তারা।

শীতকালীন সবজির মধ্যে শিম অন্যতম। এটি ভর্তা, ভাজি, রান্না সবভাবেই খাওয়া যায়। এই সবজির বেশ কয়েকটি বিশেষ উপকারিতা আছে।